—প্রতীকী চিত্র।
পথ দুর্ঘটনায় কলকাতায় মৃ্ত্যুর সংখ্যা কমল অনেকটাই। ২০২২ সালে কলকাতা পুলিশ এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৮৫ জন। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫৯-এ। গত কয়েক বছর ধরে শহরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। ২০২১ সালে ওই সংখ্যা ছিল ১৯৬। লালবাজার জানিয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পাশাপাশি কমেছে এমন দুর্ঘটনার সংখ্যাও, যেখানে কারও না কারও মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২-এ শহরে ওই সংখ্যা ছিল ১৭৮টি। ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ১৫২।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই পরিসংখ্যানে সেই সব পথ দুর্ঘটনাকেই ধরা হয়েছে, যেখানে কোনও গাড়ির ধাক্কায় যাত্রী বা পথচারী মারা গিয়েছেন। আবার দুই গাড়ির সংঘর্ষের তথ্যও এখানে রয়েছে। তবে পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক উল্টে আরোহীর মৃত্যু হলে সেটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসাবে দেখানো হয়।
লালবাজারের দাবি, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচার ও বিভিন্ন পরিকাঠামো ও নজরদারি বৃদ্ধির ফলেই ২০১৬ সাল থেকে দুর্ঘটনা ও তাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এরই সঙ্গে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়েছিল। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করে ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গকারীদের উপরে কড়া নজরদারিতে জোর দেওয়া হয়। গতিতে রাশ টানতে সিসি ক্যামেরা ও স্পিড ক্যামেরার মাধ্যমে চলেছে নজরদারি। পাশাপাশি, দুর্ঘটনা ঘটানো বাস-অটো-ট্যাক্সির চালকদের নিয়ে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক ট্রেনিং স্কুলে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির, তাঁদের সচেতন করার ফলেও কমেছে দুর্ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতিদিনই শহরে ছোট-বড় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। সেগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়। বিশেষত, হেলমেটহীন ও দু’জনের বেশি আরোহী নিয়ে চলা মোটরবাইকের বিরুদ্ধে নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু কমায় স্বস্তিতে ট্র্যাফিক পুলিশ কর্তারা।