রাঘিব এবং আরসালান।
জাগুয়ার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রাঘিব পারভেজকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিলেন মুখ্য মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট। জামিন পেলেন ওই মামলায় প্রথমে গ্রেফতার হওয়া রাঘিবের ভাই আরসালান পারভেজ এবং তাঁর মামা মহম্মদ হামজা।
বুধবারই দুবাই থেকে ফেরার পর গ্রেফতার করা হয় রাঘিবকে। তাঁকে পালাতে সাহায্য করার জন্য গ্রেফতার করা হয় মামা হামজাকে। বৃহস্পতিবার লালবাজার থেকে বেলা দুটো নাগাদ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের লক আপে নিয়ে যাওয়া হয় হামজা এবং রাঘিবকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ধৃতদের পারিবারিক বন্ধু এবং আত্মীয়রা। বেলা আড়াইটে নাগাদ তাঁদের এজলাসে নিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পর হাজির করা হয় ভাই আরসালানকে। কালো ফ্রেমের চশমা এবং সাদা টি শার্টে রাঘিব এ দিন আদালতে আগাগোড়া ছিলেন শান্ত। তাঁর চোখেমুখেও কোনও রকমের ভয় বা শঙ্কা ছিল না। তিনি মন দিয়ে আদালতের সওয়াল জবাব শুনছিলেন।
আরও পড়ুন: আরসালানের দাদাই চালক, গ্রেফতার
আরও পড়ুন: লকআপে কেঁদে ভাসাচ্ছে ভাই আরসালান! কেন দাদাকে বাঁচানোর চেষ্টা, উঠছে বহু প্রশ্ন
এ দিন সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরসালানকে পুলিশ হেফাজতে জেরা করেই জানা যায় গাড়ি চালাচ্ছিল দাদা রাঘিব। সে দুবাই পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ রাঘিবকে গ্রেফতার করেছে।” সরকারি আইনজীবী এ দিন আদালতে জানান, আরসালান প্রথমে রাঘিবের কথা না বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন। মিথ্যা কথা বলেছেন পুলিশকে। সে কারণে আরসালানকে বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় অভিযুক্ত করতে চায় পুলিশ। ঠিক একই ভাবে রাঘিবের মামা হামজা রাঘিবের অপরাধের কথা জেনেও তাঁকে পালাতে সাহায্য করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২১২ ধারায় (অভিযুক্তকে সাহায্য) মামলা করার অনুমতি চায় পুলিশ।
মহম্মদ হামজা এবং আরসালানকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। রাঘিবকে জেরা করার জন্য ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানান। আরসালানের আইনজীবী দেবজ্যোতি সেনগুপ্ত আদালতে হামজা এবং আরসালানের জামিনের আবেদন জানান।
মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আরসালান পারভেজ এবং মহম্মদ হামজাকে ৫ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। তাঁদের পাসপোর্ট তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে জমা রাখার নির্দেেশ দেন। রাঘিবকে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ দিন আদালত থেকেই জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি যান আরসালান এবং হামজা।