কলকাতার ময়দানে ফুটবল খেলতে এসে নিজেরই দেশের এক নামী ফু়টবলারের হাতে ‘প্রতারণার’ শিকার হয়েছিলেন। তা-ই তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল চরম অনটনের মধ্যে। ওই অবস্থা থেকে বেরোতে মাদক চক্রে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেছেন মাদক পাচারের অভিযোগে ধৃত প্রাক্তন ফুটবলার ইমানুয়েল। গত মঙ্গলবার রাতে ওই নাইজিরীয় খেলোয়াড়কে লক্ষাধিক টাকার কোকেন-সহ গ্রেফতার করেছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন ধৃত।
পুলিশ জানিয়েছে, গত দশকের মাঝামাঝি ময়দানে এজেন্টের মাধ্যমে খেলতে এসেছিলেন ইমানুয়েল। পোর্ট ট্রাস্টের হয়ে ২০০৯ সাল থেকে কয়েক বছর খেলেছিলেন। জেরার মুখে ওই খেলোয়াড়ের দাবি, সে সময়ে কলকাতার পথ শিশুদের অবস্থা দেখে তাদের উন্নতির জন্য নিজের দেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়ে একটি সংস্থা গড়েন। যার মধ্যমণি ছিলেন এ দেশে খেলে যাওয়া এক খ্যাতনামা ফুটবলার। ইমানুয়েলের অভিযোগ, ওই প্রাক্তন খেলোয়াড় পরে নিজেই সংগঠনের দখল নিয়ে নেন।
পুলিশ জানায়, খেলতে এসে নাইজিরীয় ফুটবলারদের অপরাধে জড়ানো নতুন নয়। মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে। কলকাতায় এক দশক ধরে ওই মাদক চক্র সক্রিয় রয়েছে। পুলিশ জানায়, ইমানুয়েল বর্তমানে গুয়াহাটির একটি বেসরকারি স্কুলের ফুটবল কোচ। কলকাতায় থাকার সময়ে তাঁর মাদক চক্রের সঙ্গে যোগ থাকলেও অসমেই তিনি মাদক পাচারে যুক্ত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। মূলত এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি মাদক পৌঁছে দিতে গুয়াহাটি থেকে এসেছিলেন বলে দাবি পুলিশের। পুলিশের দাবি, কলকাতায় বিভিন্ন পার্টিতে ওই মাদক পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। আরও কয়েক জন খেলোয়াড় ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত। পুলিশ জানায়, তাঁদের খোঁজ চলছে।