ফাইল চিত্র।
আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পরে এক বন্দিকে তল্লাশি করে মিলল ন’টি ক্ষুর, মোবাইল এবং নেশার ট্যাবলেট-সহ একাধিক নিষিদ্ধ জিনিসপত্র। দমদম সেন্ট্রাল জেলের ঘটনা। কর্তৃপক্ষের দাবি, আগাম খবরে ওই সব জিনিস উদ্ধার হওয়ায় জেলের ভিতরে বড় অশান্তি এড়ানো গিয়েছে।
কারা দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ ব্যারাকপুর আদালত থেকে ফেরে বছর পঁয়ত্রিশের বন্দি গোবিন্দ দাস। খুন এবং মারামারি-সহ তার বিরুদ্ধে দু’ডজনের বেশি অভিযোগ রয়েছে। আগাম খবরের ভিত্তিতে গোবিন্দকে তল্লাশি করে ক্ষুর, পাঁচটি মোবাইল, বেশ কয়েকটি নেশার ট্যাবলেট এবং গাঁজা উদ্ধার করা হয়। রাত সওয়া ন’টা থেকে ঘণ্টা তিনেক ধরে গোবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেলের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে ওই সব সামগ্রী পাওয়া যায়।
আদালত থেকে ফেরার পরে প্রত্যেক বন্দিকে নিরাপত্তার কয়েকটি বলয় পেরিয়ে জেলে ঢুকতে হয়। সেখানে বন্দিদের দেহ তল্লাশি করা হয়। শুরুতে বিষয়টি ধরা না পড়লেও পরে তা কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
কারা দফতরের এক আধিকারিক জানান, জেলে অশান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই গোবিন্দ ক্ষুর-সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে আসে। একটি কুখ্যাত গোষ্ঠীর হয়ে অন্য গোষ্ঠীকে আক্রমণ করতেই ওই সব অস্ত্রের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। তাতে ফের জেল চত্বরে অশান্তি বাধার আশঙ্কা ছিল। মাস দু’য়েক আগে বর্ধমান জেল থেকে দমদমে আনা হয় গোবিন্দকে।
শুক্রবার রাতের ঘটনায় যে ভাবে গোবিন্দের কাছে ধারাল অস্ত্র-সহ আপত্তিকর জিনিসপত্র মিলেছে তাতে আরও এক বার সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে থাকার ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন জেলের আধিকারিকেরা। কারণ আদালত থেকে ফেরার পরেই তার কাছ থেকে একাধিক বেআইনি সামগ্রী মিলেছে। ফলে, প্রশ্ন উঠেছে আদালতে যাওয়া-আসার পথে রক্ষী থাকা সত্ত্বেও তাদের চোখ এড়িয়ে গোবিন্দের
কাছে ওই সব আপত্তিকর সামগ্রী পৌঁছল কী ভাবে।
ওই ঘটনার পরে জেল কর্তৃপক্ষ দমদম থানায় গোবিন্দের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। অন্য কয়েক জন বন্দিকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে খবর।