—প্রতীকী ছবি
থানায় সালিশি সভা ডেকে ধর্ষিতা এক নাবালিকার সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ে দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য পুলিশের ইনস্পেক্টর পরেশ রায় ও কলকাতা পুলিশের কর্মী গোপাল ওরফে সৌমেন কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে। চার বছর আগে ঘটনাটি ঘটেছিল বারাসতে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়ার আদালতে রাজ্য জানাল, ওই দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়ে বারাসত জেলা আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পরেশবাবু বর্তমানে সোনারপুর থানার আইসি।
সরকারি কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন আদালতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের এক কর্তার রিপোর্ট দিয়ে জানান, গত ৯ অক্টোবর নিম্ন আদালতে ওই আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নাবালিকার মা ২০১৪ সালে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। সালিশি সভা বসিয়ে মেয়ের বিয়ে দেওয়ানোর জন্য পরেশবাবুদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু পুলিশ বারাসত থানার প্রাক্তন ওসি পরেশবাবু ও কলকাতা পুলিশের কর্মী গোপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মেয়েটির মা।
২০১৫ সালে হাইকোর্ট অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অমান্য হওয়ায় নাবালিকার মা আদালত অবমাননার মামলা করেন। বিচারপতি পাথেরিয়া এ দিন পুলিশের পেশ করা রিপোর্টের প্রতিলিপি নাবালিকার মায়ের আইনজীবীকে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন কোর্ট অফিসারকে।