ফাইল চিত্র।
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও অ্যাপ-ক্যাব নিয়ে মানুষের ভোগান্তি বজায় রইল। সোমবারের মতো তীব্র না হলেও গাড়ির আকাল মঙ্গলবারেও টের পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ, এ দিনও সকাল ১০টা নাগাদ গড়িয়া থেকে এসপ্লানেডের ভাড়া চাওয়া হয়েছে ৬৫৬ টাকা। দুপুর ২টো নাগাদ কসবা থেকে ভবানীপুর যাওয়ার ভাড়া দেখিয়েছে ২৬৫ টাকা। বেহালা থেকে সেক্টর ফাইভ বা টালিগঞ্জ থেকে বিমানবন্দর-সহ বিভিন্ন রুটে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ভাড়া ছিল দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি।
অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকা দ্রুত বলবৎ করা এবং আরও চার দফা দাবিতে কাল, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল করে লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে এআইটিইউসি-র ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠন। ওই সময়ে অ্যাপ-ক্যাব পরিষেবা কয়েক ঘণ্টা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বিমান ও রেল পরিষেবা স্বাভাবিক থাকায় বিমানবন্দর এবং বিভিন্ন স্টেশনে অ্যাপ-ক্যাবের জোগান চাহিদার তুলনায় কম ছিল। দুপুরে ধর্মঘটের সমর্থনে সিটুর অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনের প্রতিনিধিরা রাসবিহারী মোড়ে মিছিল ও অবরোধ করেন। গরমে অ্যাপ-ক্যাবে এসি চালানোর দাবি জোরালো হচ্ছে যাত্রীদের মধ্যে। ফলে ভাড়ার পুনর্বিন্যাসের দাবি তোলা হয় বলে সংগঠনের তরফে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন।
এআইটিইউসি-র সংগঠনের দাবি, দূষণ পরীক্ষার নামে চালকদের ‘পুলিশি হয়রানি’ বন্ধের এবং নয়া জরিমানা-বিধি প্রত্যাহারের দাবিও রয়েছে তালিকায়। এআইটিইউসি-র অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা জারির এক মাস পরেও অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি তা মানছে না। অবিলম্বে ওই নির্দেশিকা চালু করার দাবি জানাচ্ছি।’’