ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাসের দুই প্রজাতি এইচ ১ এন ১-এ যথাক্রমে ৫ ও ৭১ এবং এইচ ৩ এম ২-এ ১২ ও ৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন ওই দু’মাসে। প্রতীকী ছবি।
শুধু অ্যাডিনো নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাসের পাশাপাশি আরও ছ’রকম ভাইরাস গত দু’মাস ধরে বঙ্গে জ্বর-কাশি ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রাজ্যে নাইসেড-সহ চারটি মেডিক্যাল কলেজে এবং বেসরকারি স্তরে আটটি জায়গায় ভাইরাল প্যানেল পরীক্ষা হয়। বেসরকারিতে পরীক্ষার খরচ ৮-২০ হাজার টাকা। তাই তাঁরাও সব ক্ষেত্রে পরীক্ষার কথা বলছেন না। এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “কোন ভাইরাসের প্রকোপ কতটা বেশি, সেটা জানা জরুরি ঠিকই। তবে, তা খরচসাপেক্ষ। তাই শিশু বা বয়স্কদের মধ্যে যাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক, তাঁদেরই পরীক্ষা করানো হচ্ছে।’’ তাই, কোভিডের মতো এ বার এই সব ভাইরাসের ক্ষেত্রেও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন চিকিৎসকেরা।
জানুয়ারিতে রাজ্যে অ্যাডিনোয় ২১৬ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩১১ জন আক্রান্ত হন। ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাসের দুই প্রজাতি এইচ ১ এন ১-এ যথাক্রমে ৫ ও ৭১ এবং এইচ ৩ এম ২-এ ১২ ও ৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন ওই দু’মাসে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকও ওই তিন ভাইরাসের বিষয়ে সব রাজ্যকে সতর্ক করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণ, ওই দু’মাসে প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জায় ৭১ ও ৪৭, রাইনোয় ৬৪ ও ৮৮, ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি-তে ২ ও ৯, ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ-র অন্য প্রজাতি ৩ ও ১৩, রেসপিরেটরি সিন্সিশল ভাইরাসে ১৪ ও ১২, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে ১৭ ও ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুদের সংক্রমণের সিংহভাগের নেপথ্যে অ্যাডিনো। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ এবং আরএসভি-তে ছোটরাও আক্রান্ত হয়েছে। বাকি ভাইরাসে শিশু-বয়স্ক সকলেই সংক্রমিত হচ্ছে। শিশুরোগ চিকিৎসক পল্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অ্যাডিনো ও ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাসের নির্দিষ্ট ওষুধ আছে। কিন্তু পরীক্ষা করে সকলের ভাইরাস চিহ্নিত করা সম্ভব না হওয়ায় উপসর্গ-ভিত্তিক চিকিৎসা হচ্ছে। ভাইরাস চিহ্নিত করলে ফল আরও ভাল হত।”