ফাইল চিত্র
হাতে নয়, এ বার যন্ত্রের মাধ্যমে যাত্রীদের মালপত্র জীবাণুমুক্ত
করা শুরু হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরে। দেশের অন্য শহর থেকে উড়ান নামলে যে ডোমেস্টিক অ্যারাইভালে যাত্রীরা আসেন, সেখানেই ২ নম্বর ব্যাগেজ বেল্টে এমন যন্ত্র বসেছে। চলতি মাসে একটি ডিপার্চার গেটেও এই যন্ত্র বসানো হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য।
কলকাতা ছেড়ে যাঁরা অন্য শহরে যাচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিপারচার গেটে এখন হাতে মালপত্র জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। এতে অনেক সময় লাগছে। এ বার সেই গেটে নতুন যন্ত্র বসানো হলে, যাত্রী তাঁর মালপত্র যন্ত্রের কনভেয়ার বেল্টে তুলে দেবেন। সেগুলি স্বয়ংক্রিয় ভাবে জীবাণুমুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসবে। আপাতত একটি গেটেই পরীক্ষামূলক ভাবে এই যন্ত্র বসানো হবে। সেটা সফল হলে আরও চারটি গেটের কথা ভাবা হবে।
অন্য শহর থেকে কলকাতার উড়ান ধরার আগে সেই বিমানবন্দরে এক বার যাত্রীদের মালপত্র জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছিল। এ বার কলকাতায় নামার পরেও তা শুরু হল। কৌশিকবাবু বলেন, ‘‘অন্য শহর থেকে আসা যে যাত্রীদের মালপত্র ২ নম্বর ব্যাগেজ বেল্টে আসবে, সেই বেল্টের মুখে লাগানো বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে ওই মালপত্র জীবাণুমুক্ত করা হবে। এটা স্থানীয় ভাবে আমরা লাগিয়েছি।’’
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এই যন্ত্রের দাম সাত লক্ষ টাকা। কলকাতা বিমানবন্দরে ডোমেস্টিক অ্যারাইভালে এখন মোট ১০টি ব্যাগেজ বেল্ট রয়েছে। আন্তর্জাতিক উড়ানের জন্য রয়েছে ছ’টি বেল্ট। কলকাতা-সহ দেশের সব শহর থেকে এখন আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক উড়ান যাতায়াত করছে। যাত্রী সংখ্যাও তুলনায় অনেকটাই কম এখন। লকডাউনে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের রোজগারও এক প্রকার তলানিতে ঠেকেছিল। তাই এই মুহূর্তে খরচের উপরেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে একসঙ্গে সব বেল্টে বা সব ডিপার্চার গেটে এখনই এই যন্ত্র বসানো হবে না বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে।