প্রতীকী ছবি।
শুধু অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর নন, মুচিবাজারের লুঠের ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবলও। ধৃত পুলিশ অফিসার আশিস চন্দকে জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফেরার পুলিশ কনস্টেবল ছাড়াও এই লুঠের ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন আরও এক জন। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তের দায়িত্ব নেবে গোয়েন্দা বিভাগ। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ক্রাইম রেকর্ড সেকশনে কর্মরত ওই অভিযুক্ত আশিস চন্দকে জেরা করতে গিয়ে আরও নতুন অপরাধের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে শিয়ালদহ রেল পুলিশের কাছেও আশিসের নামে একটি প্রতারণার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। সেই ঘটনার জেরে কলকাতা পুলিশ বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ফের কাজে বহাল করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: কলকাতার হাসপাতাল থেকে উধাও কাটা আঙুল, হদিশ পেতে রোগীর পরিবার থানায়
নদিয়ার সোনার ব্যবসায়ী বাবলু নাথের করা অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে আশিসের ভূমিকা সামনে আসে। বাবলু অভিযোগ করেছিলেন, বড়বাজার থেকে ৫০ গ্রাম সোনা কিনে ফেরার পথে পুলিশ পরিচয় দিয়ে কয়েক জন তাঁকে একটি এসএইভি গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে ৪ জুলাই। তাঁর সঙ্গে নগদ এক লাখ টাকাও ছিল। বিমানবন্দরের দিকে নিয়ে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে জোর করে টাকা ও সোনা কেড়ে নেওয়া হয়।
মুচিপাড়া থানা এলাকায় ঘটা ওই অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে গাড়ির হদিশ পায়। অপহরণে ব্যবহার করা গাড়ির মালিককে জেরা করে মেলে চালক নেপাল ধরের হদিশ। তাকে গ্রেফতার করে বলাই নামের অন্য এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। তাদের জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আশিসের।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীকে গাড়ি তুলে নিয়ে টাকা-সোনা লুঠ, গ্রেফতার পুলিশকর্মী-সহ তিন