Coronavirus

১০০ শতাংশ হাজিরার পুর নির্দেশ, ক্ষোভ

প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সরকারি অফিসে ৭০ শতাংশ হাজিরার কথা বলছেন সেখানে পুরসভায় ১০০ শতাংশ হাজিরা কতটা যুক্তিযুক্ত?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০১:৪১
Share:

ফাইল চিত্র

নবান্নের নির্দেশ মতো আজ, সোমবার থেকে ৭০ শতাংশ হাজিরা নিয়ে কাজ শুরু করছে সমস্ত সরকারি অফিস। এর পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, আজ থেকে সব বিভাগে সমস্ত কর্মী-অফিসারদের কাজে যোগ দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, পুরসভার ট্রেজারি বিভাগের তরফে একটি পৃথক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, বিভাগীয় যে কর্মীরা দূর থেকে আসবেন, কলকাতায় অস্থায়ী থাকার জায়গা তাঁদেরকেই খুঁজে নিতে হবে। একই সঙ্গে নিয়মিত কাজে না-আসা এবং পুরসভাকে অসহযোগিতা করার অভিযোগে পুর শিক্ষা দফতরের ১১ জন কর্মীর জুন মাসের বেতন আটকে দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। পরপর এই তিন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে কর্মী মহলে। ক্ষুব্ধ কর্মীদের একটা বড় অংশ।

Advertisement

প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সরকারি অফিসে ৭০ শতাংশ হাজিরার কথা বলছেন সেখানে পুরসভায় ১০০ শতাংশ হাজিরা কতটা যুক্তিযুক্ত? পুরসভার যে অসংখ্য কর্মী হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা ছাড়াও বর্ধমান, দুর্গাপুর, কাকদ্বীপ থেকে আসেন, ট্রেন বন্ধ থাকায় তাঁরা আসবেন কী ভাবে? ওই কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ‘‘এখন ট্রেন বন্ধ। রাস্তায় বাসও হাতে গোনা। কিন্তু উপায় নেই। শত ভোগান্তি হলেও আমাদের যেতে হবে।’’

পুরসভার ট্রেজারি বিভাগের ২০ জন কর্মী মিনিবাস ভাড়া করে আজ বাগনান থেকে কাজে যোগ দিতে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যান্ডেল থেকে গাড়ি ভাড়া করে আসবেন জনা দশেক কর্মী। অনেকে আবার তাঁদের কর্মজীবনে এই প্রথম সাইকেল চালিয়ে অফিসে আসবেন। যেমন, পুরসভার ক্যান্টিনে কাজ করেন কোন্নগরের বাসিন্দা সুবীররঞ্জন দে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দশ জন সাইকেল চালিয়ে অফিসে যাব। তা ছাড়া উপায় নেই।’’ বাপ্পা দাস নামে বাগনানের বাসিন্দা এক কর্মী বলেন, ‘‘ভোর চারটের সময়ে সাইকেল নিয়ে বেরোব। আপাতত সাইকেলই ভরসা।’’ ব্যান্ডেলের বাসিন্দা এক কর্মী কিশোর রামদাসের কথায়, ‘‘আমরা কয়েক জন একটি গাড়ি ভাড়া করেছি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: পরিযায়ীদের জন্য আপনারা কী করেছেন? বিহারে অনলাইন সভায় বিরোধীদের তোপ অমিতের

দূর-দূরান্ত থেকে আসা কর্মীদের কথা না-ভেবে এমন বিজ্ঞপ্তি কেন? পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘অত্যাবশ্যকীয় যে সব দফতর আছে যেমন জঞ্জাল অপসারণ, স্বাস্থ্য ইত্যাদি— সেখানে ৭০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকলে মানুষকে যথাযথ পরিষেবা দেওয়া যাবে না। তাই ১০০ শতাংশ হাজিরার কথা বলা হয়েছে। কর্মী-অফিসারদের কাজের তালিকা তৈরি করা হবে।’’ আর পুর কমিশনারের দাবি, ‘‘সোমবার থেকে শহরে সরকারি-বেসরকারি বাস অনেক বেশি চলবে। জেলা থেকেও বেশি বাস কলকাতায় আসবে। তাই সমস্যা কিছু হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement