ঘোষণা মতোই মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য রোগী ভর্তি বন্ধ করল বিধাননগরের আনন্দলোক হাসপাতাল।
হাসপাতালের যুক্তি, পিএফ দফতর এর আগে ১৭ লক্ষ টাকা বকেয়া আদায় করেছিল, এ বার ৯ লক্ষেরও বেশি টাকা আদায়ের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। এই অবস্থায় হাসপাতাল চালু করা সম্ভব নয়। যদিও পিএফ দফতর জানিয়েছে, তারা কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি। স্রেফ বকেয়ার পরিমাণ আটকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, ৯ লক্ষের জন্য হাসপাতাল বন্ধ মানা যায় না। এ দিন হাসপাতালের পাশে দাঁড়ান বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলের একাংশ। তাঁরা জানান, হাসপাতাল চালু রাখার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার পিএফ দফতরের বকেয়া নিয়েও খোঁচা দেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘পিএফ ভবনের সার্ভিস ট্যাক্স বাকি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা বলে আমরা তাদের জলের লাইন কেটে দিইনি।’’
হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, অনুদানে চলে এই হাসপাতাল। তা সময়ে না এলে পিএফের টাকা দিতে দেরি হয়। হাসপাতাল বন্ধ হলে আমাদের রোজগার বিপন্ন হবে।
পিএফ দফতর জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুনানিতেও হাজির ছিলেন। তাঁরা কিস্তিতে বকেয়া মেটানোর আবেদন করলে মঞ্জুরও হয়। কিন্তু সে জন্য যে আইনি প্রক্রিয়া দরকার, তা করেননি। ফলে ব্যাঙ্ককে বকেয়ার ৯ লক্ষ ২৫৮ টাকা আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে।