Mysterious Death In Kasba

কসবায় ভাড়া বাড়িতে প্রৌঢ়ের রহস্য-মৃত্যু

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সোমবার গভীর রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘরে ফেরেন মোহন। তাঁর ঘরে ভীষণ ইঁদুরের উপদ্রব ছিল। পুলিশ জানিয়েছে প্রৌঢ়ের নাকের কাছে খুবলানোর দাগ মিলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৫৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ঘরের মেঝেতে চিৎ অবস্থায় পড়ে আছে প্রৌঢ়ের দেহ। নাকের ক্ষতস্থান দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে কসবার রাজডাঙা মেন রোডে একটি ভাড়ার ঘরে এই দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিলেন মৃতের এক বন্ধু। তিনিই স্থানীয় লোকজন ও থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোহন শর্মা (৬৫)। আদতে তাঁর বাড়ি বিহারে। কসবায় যে বাড়িতে মোহন ভাড়া থাকতেন, সেটির মালিক রীতা দাস দে পাশেই থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘মোহন রোজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে পুজো দিতেন। এ দিন সকালে সাতটা বেজে গেলেও
উনি ঘুম থেকে না ওঠায় আমি ওঁর ঘরের সামনে গিয়ে দেখি, দরজা ভেজানো। তখন আমি চলে আসি। ১১টা নাগাদ শুনি, মোহন মারা গিয়েছেন।’’ তবে কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি রীতা। তিনি বলেন, ‘‘উনি নিয়মিত মদ্যপান করতেন। সোমবার বিকেলে ওঁকে ঘরে শেষ বার দেখেছিলাম। রাতে কেউ মোহনের নাম ধরে ডাকায় উনি বাইরে গিয়েছিলেন। তবে রাত ২টো নাগাদ ওঁর ঘরের সামনে বহু ক্ষণ কুকুরের চিৎকার শোনা গিয়েছে।’’

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সোমবার গভীর রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘরে ফেরেন মোহন। তাঁর ঘরে ভীষণ ইঁদুরের উপদ্রব ছিল। পুলিশ জানিয়েছে প্রৌঢ়ের নাকের কাছে খুবলানোর দাগ মিলেছে। যা দেখে তদন্তকারীদের ধারণা, ইঁদুর জাতীয় কোনও জীব ওই কাজ করতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এলাকায় ইঁদুরের উৎপাতের কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, মোহন যে ঘরে থাকতেন, সেটি তালা বন্ধ। প্রসঙ্গত, এর আগে শহর কলকাতায় ইঁদুরের উপদ্রব বাড়া নিয়ে সকলকে সাবধান হতে বলেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সেই সাবধানবাণী শোনার পরে কসবায় মৃতের নাকে ইঁদুর ক্ষত করায় চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement