প্রতীকী ছবি।
অটোচালকের সততা ও চেষ্টায় খোয়া যাওয়া টাকা-সহ একাধিক ডেবিট কার্ড ফিরে পেলেন এক মহিলা।
পুলিশ জানিয়েছে, পার্ক সার্কাসের একটি হাসপাতালের কর্মী মৌমিতা সাহা রবিবার সকাল ন’টা নাগাদ সন্তোষপুর জোড়া ব্রিজ থেকে যাদবপুর-মুকুন্দপুর রুটের অটো ধরে বাইপাসে নামেন। এর পরে মুকুন্দপুর থেকে বাসে উঠে ভাড়া দিতে গিয়ে তিনি দেখেন, মানিব্যাগ নেই। বাস থেকে মাঝপথে নেমে প্রগতি ময়দান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৌমিতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ব্যাগে সাড়ে তিন হাজার টাকা-সহ একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড ও একটি পাইকারি দোকানের কেনাকাটার কার্ড ছিল।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সোমবার সকালে বাইপাসের ওই পাইকারি বিপণির অফিস থেকে আমার স্বামীর মোবাইলে ফোন করে জানানো হয়, আমার হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে।’’
মৌমিতা জানান, ওই ব্যাগ তিনি ফিরে পেয়েছেন এক অটোচালকের জন্য। মুকুন্দপুরের বাসিন্দা সেই অটোচালক অমিত সাহা বলেন, ‘‘রবিবার মুকুন্দপুরের অটো স্ট্যান্ডে পৌঁছনোর কিছুটা আগে পিছনে বসা এক বৃদ্ধা জানান, তাঁর পায়ের কাছে একটি মানিব্যাগ পড়ে রয়েছে। ওই ব্যাগটি তিনি আমাকে দেন।’’ এর পরে রবিবার সারা দিন ওই ব্যাগের মালিকের খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাননি অমিতবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘সোমবার ঘটনার কথা অটো স্ট্যান্ডের এক দাদাকে জানাই। তিনি মানিব্যাগে রাখা একটি পাইকারি বিপণন সংস্থার ডেবিট কার্ড দেখে সিংহবাড়ির কাছে ওই সংস্থার অফিসে কার্ডটি নিয়ে যান। ওই সংস্থার প্রতিনিধিরাই কার্ডের মালিকের মোবাইল নম্বর পেয়ে তাঁকে ফোন করে ঘটনাটি জানান।’’
এ দিন সকালে মৌমিতার স্বামী লিঙ্কন সাহা মুকুন্দপুর অটো স্ট্যান্ডে গিয়ে অমিতবাবুর কাছ থেকে তাঁর স্ত্রীর মানিব্যাগ ফেরত পান। মৌমিতা বলেন, ‘‘অটোচালকদের নিয়ে অভব্যতার একাধিক অভিযোগ ওঠে। কিন্তু অমিতবাবু একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।’’ ওই অটোচালকের কথায়, ‘‘যাত্রীর ব্যাগ হারিয়ে গেলে সেটা ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের কর্তব্য।’’