—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাতে শুটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে এক অভিনেত্রীকে হেনস্থার শিকার হতে হল বলে অভিযোগ। অবশেষে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হওয়ায় নিষ্কৃতি পান তিনি। পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে এমন অভিজ্ঞতার বর্ণনা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দেওয়ালে পোস্ট করেন ওই অভিনেত্রী।
তাঁর বয়ান অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োয় শুটিং শেষে অ্যাপ-বাইক বুক করে বাড়ি ফিরছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী সাহা। অ্যাপ-বাইক চালকের আনুমানিক বয়স ২৮-২৯ বছরের মধ্যে ছিল বলে জানান তিনি। চালকের কানে হেডফোন গোঁজা ছিল। বাইক চালাতে চালাতে কথাও বলছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর দাবি, বেপরোয়া গতিতে চলা বাইকটি তিন বার কোনও রকমে দুর্ঘটনার থেকে বেঁচে যায়। দাবি, তনুশ্রী তাঁকে বারকয়েক বলেন, সাবধানে বাইক চালাতে। তাতে বিরক্তি প্রকাশ করে চালক জানান, তিনি এ ভাবেই চালাবেন।
এ দিকে তনুশ্রী বার বার নিষেধ করতে থাকায় ই এম বাইপাসে বিধাননগরের কাছে এক জায়গায় মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে দেন চালক। সেখানে লোকজন কম ছিলেন বলেই অভিনেত্রীর দাবি। আরও অভিযোগ, বাইক থামিয়ে চালক ‘তুই-তোকারি’ করে অভিনেত্রীকে নেমে যেতে বলেন। তনুশ্রী তা মানতে না চাইলে গালিগালাজ শুরু করেন চালক। প্রতিবাদ করলে তাঁর দিকে চালক তেড়ে যান বলে দাবি। চেঁচামেচি জুড়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন অভিনেত্রী।
অভিযোগ, কিছু ক্ষণের মধ্যেই আরও কয়েক জন মোটরবাইক নিয়ে হাজির হন সেখানে। তাঁরা চালকের পরিচিত বলেই দাবি। তত ক্ষণে তনুশ্রীও পুলিশকে ফোন করেন। বিধাননগর ও কলকাতার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ আসছে বুঝে চালকের সঙ্গীরা চলে যান। সেই মোটরবাইক চালকও চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাইকচালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চায়। কিন্তু অভিনেত্রী চালকের বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। এর পরে পুলিশ তনুশ্রীর বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে।
তনুশ্রী জানিয়েছেন, পেশার তাগিদে বাইক চালান ওই চালক। তাঁর মনে হয়েছিল, পুলিশ হাজির হওয়ায় চালক ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সম্ভবত তাতেই চালক শিক্ষা পেয়েছেন। সেটুকুই দরকার ছিল। সেই বিবেচনায় তিনি ওই চালকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চাননি।