—প্রতীকী ছবি।
মাত্র এক মাসেই আক্রান্ত দশ হাজার! যা দেখে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, ডেঙ্গি কী রকম ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেই স্বস্তির খবর শোনাচ্ছে নাইসেড। তাদের গবেষণাতেই জানা গিয়েছে, ডেঙ্গির চারটি প্রজাতির মধ্যে ‘ডেন-৩’-র প্রকোপ এখন সব থেকে বেশি। সেই কারণে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়লেও সঙ্কটজনক রোগীর সংখ্যা কম। ফলে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হচ্ছে কম সংখ্যক রোগীকে।
যদিও সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত সজাগ থাকার কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, গত বছরও প্রথম দিকে নিরীহ স্ট্রেন বলে পরিচিত ‘ডেন-৩’-র আধিপত্য ছিল। কিন্তু পরের দিকে ‘ডেন-২’-র প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জুলাই-অগস্ট, পরপর দু’মাস ডেঙ্গির সেরোটাইপিং করে নাইসেড দেখেছে, ‘ডেন-৩’ প্রজাতির আধিপত্য বেশি। জুলাইয়ে মোট সংগৃহীত নমুনার ৬৩ শতাংশ ছিল ‘ডেন-৩’। অগস্টে তা হয়েছে ৭২ শতাংশ। আর ‘ডেন-২’ মিলেছে ১৮ শতাংশ। জুলাইয়ে ওই স্ট্রেন ছিল ১৭ শতাংশ। নাইসেডের তরফে ওই রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনেও জমা পড়েছে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির চারটি প্রজাতির মধ্যে তুলনায় নিরীহ বলে পরিচিত ‘ডেন-১’ এবং ‘ডেন-৩’। আর আক্রমণাত্মক বলে পরিচিত ‘ডেন-২’ এবং ‘ডেন-৪’। এই দু’টি স্ট্রেনে আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা দ্রুত সঙ্কটজনক হতে পারে। প্রচুর মৃত্যুও হয়। গত সেপ্টেম্বরে ‘ডেন-৩’ ও ‘ডেন-২’ প্রায় সমান ভাবে ছড়িয়েছিল। তাই ৬৭ হাজার আক্রান্তের
পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা ছিল ৩০। আবার ২০১৯-এ ‘ডেন-২’ প্রজাতির প্রকোপ বেশি হওয়ায় ২০ হাজার আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয় ১০০ জনের। সংক্রামক রোগের এক চিকিৎসকের কথায়, ‘‘এ বার ডেন-৩-র তুলনায় ডেন-২ অনেকটাই কম। তাই দ্রুত সঙ্কটজনক হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশ কম।’’
সূত্রের খবর, রাজ্যে ১৩ হাজারের বেশি আক্রান্ত, মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৮ জনের। হাসপাতালে রোজই কিছু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। অগস্টে সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে। কিন্তু তাতে সঙ্কটজনকের হার অনেক কম। কিন্তু যাঁরা সঙ্কটজনক হচ্ছেন, তাঁদের মারাত্মক বাড়াবাড়ি হচ্ছে বলে খবর।