সুরঞ্জন দাস
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা ফিরলেও, সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন তিনি। এ ভাবেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, “এ ভাবে কাজ চালানো যায় না। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাই।” পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি বলেন, “সহ উপাচার্য এবং আমি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রেহাই চাইব।”
অবশেষে বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করার সময় চাইলেন সুরঞ্জন দাস। রাজভবন সূত্রে খবর, ওই চিঠিতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আচার্যকে সবিস্তার জানানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তবে কি উপাচার্য পদত্যাগ করবেন? এ বিষয়ে সুরঞ্জনবাবু বলেন, “আগে উনি দেখা করুন। তার পর বিষয়টি নিয়ে ভাবা যাবে।”
আচার্যের নির্দেশে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকেন উপাচার্যই। দীর্ঘ বৈঠকের পর ৫০:৫০ ফর্মুলায় প্রবেশিকার জট কাটলেও, উপাচার্য জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই সিদ্ধান্তে তাঁর সম্মতি নেই। উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে জুটা এবং আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানান, তাঁরা সুরঞ্জনবাবুর পদত্যাগ চাইছে না। তাঁদের মতে, উপাচার্য নিজে থেকেই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।