প্রতীকী ছবি।
পণের দাবিতে মারধর করে এক গৃহবধূর মুখে কীটনাশক ঢেলে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। দু’দিন বারাসত হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে সোমবার সেখানেই মারা যান জেসমিরা খাতুন (২১) নামে ওই বধূ। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার কুড়ুলগাছা এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগে হাবড়া থানা এলাকার বাসিন্দা জেসমিরার সঙ্গে বিয়ে হয় কুড়ুলগাছার বাসিন্দা ইসমাইল সাহাজির। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে মাঝেমধ্যেই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি হত। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়েতে পাত্রপক্ষের দাবি মতো পণ দেওয়া হলেও পরে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা চাইত জেসমিরার স্বামী ও তার পরিবার। ওই এলাকার বাসিন্দা জাইরুল ইসলাম মঙ্গলবার বলেন, ‘‘মোটরবাইক কিনে দেওয়ার দাবি করে স্ত্রীকে শনিবার মারধর করে ইসমাইল। আমরাই ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’
পুলিশের কাছে অভিযোগে জেসমিরার পরিজনেরা জানিয়েছেন, বাইক কেনার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মেয়েকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সোমবার রাতে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন তাঁরা। জেসমিরার বাবা সিদ্দিক মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’’ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তেরা ফেরার।