প্রতীকী ছবি
কখনও বিদ্যুতের লাইন থেকে, কখনও বা মিটার বক্সে কারচুপি করে চুরি চলছিল। সেই চুরি ধরতে গিয়ে প্রহৃত হলেন সিইএসসি-র এক আধিকারিক। অভিযোগ পেয়ে সোমবার দুপুরে হাওড়ার পিলখানায় ওই ইঞ্জিনিয়ার গেলে তাঁর উপরে দলবল নিয়ে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠল আফতাব আলম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
অভিযোগ, সিইএসসি-র ওই ইঞ্জিনিয়ারকে আটকে রেখে মারধর করেন ওই ব্যক্তি এবং তাঁর সঙ্গীরা। বিকেলেই সিইএসসি-র তরফে স্থানীয় গোলাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে আফতাবকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, পিলখানা-সহ হাওড়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বছর দশেক আগে বিদ্যুৎ চুরির কারণেই খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি শিশুর মৃত্যুও হয়েছিল। তার পরেও চুরি বন্ধ হয়নি। এমনকি, চুরি ঠেকাতে সিইএসসি মাটির নীচ দিয়ে লাইন নিয়ে যাওয়া এবং ‘অ্যান্টি থেফ্ট’কেব্ল পাতার পরেও চুরি বন্ধ করতে পারেনি। নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করে চুরি চলছেই।
অভিযোগ, চুরি করা বিদ্যুৎ নিয়ে বহুতলের মালিকেরা রীতিমতো ব্যবসা ফেঁদেছেন। সিইএসসি-কে বিদ্যুতের টাকা না দিয়ে ভাড়াটের থেকে বিল বাবদ ইচ্ছে মতো টাকা আদায় করছেন তাঁরা। চুরি করা বিদ্যুতেই চলছে, লেদ মেশিন, গ্রিলের কারখানা, এমব্রয়ডারির ব্যবসা।
হাওড়ায় সিইএসসি-র এক পদস্থ কর্তা বলেন, “মিটার বক্সে কারচুপির খবর পেয়ে সোমবার সেখানে যান সিইএসসি-র এক ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন অভিযুক্ত। ইঞ্জিনিয়ারকে আটকে রেখে মারধর করা হয়।’’
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, বিদ্যুৎ চুরি এবং সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারকে মারধর করায় বিদ্যুৎ আইনে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।