যফিরহাদ গাকিম।— ফাইল চিত্র
দরপত্র ডেকে কাজের বরাত দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে। শহর ও শহরতলির দূষিত, বর্জ্য জল যাতে সরাসরি গঙ্গায় না পড়ে, তার জন্য ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। সেই প্লান্ট তৈরির জন্য দরপত্র ডাকার পরে কোনও রকম নিয়ম না-মেনেই কাজের বরাত দেওয়ার অভিযোগে শো-কজ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ারকে। এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত ওই ইঞ্জিনিয়ারকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “টেন্ডারের কোনও নিয়ম না-মেনেই যে ভাবে একটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে, তা বেআইনি। কেএমডিএ-র যে ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে এই কাজ হয়েছে, তাঁকে শো-কজ করা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’’ কর্তৃপক্ষ জানান, শীঘ্রই এই বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়বে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, শহর ও শহরতলিতে গঙ্গার ধার বরাবর ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করে সেখানে নিকাশির নোংরা জল পরিশোধন করার কথা। সেই কারণে কেএমডিএ এলাকায় খারাপ হয়ে পড়ে থাকা বেশ কিছু পুরনো ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নতুন করে তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। দরপত্র ডেকে ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার দায়িত্বে ছিলেন কেএমডিএ-র ‘ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন’ বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু ঠিকাদারদের একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিষয়টি পুরমন্ত্রীকে জানান। তার পরেই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ তদন্তের নির্দেশ দেন।
কেএমডিএ-র আধিকারিকদের অভিযোগ, ট্রিটমেন্ট প্লান্টগুলির বিষয়ে বিশদে খোঁজখবর না নিয়েই দরপত্রের আহ্বান করা হয়েছিল। ওই প্লান্টগুলি কী ভাবে সারানো হবে এবং তার জন্য কী কী করা দরকার, তা ঠিক করতে ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়নি। তা ছাড়া, যে সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দিষ্ট সংস্থার মালিকানা নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় বড়সড় দুর্নীতির ছায়া দেখছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
তবে অভিযুক্ত ওই ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘গোটা প্রক্রিয়াই সমস্ত রকম নিয়ম মেনে হয়েছে। কিছু ঠিকাদারের ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত লাগার ফলেই তাঁরা এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’’