সোফা বিক্রির নামে গায়েব ৫৫ হাজার টাকা

পুলিশকে অভিযোগে দেবযানীদেবী জানিয়েছেন, পুরনো জিনিস কেনাবেচার একটি ওয়েবসাইটে তিনি সম্প্রতি ৭৫০০ টাকায় একটি সোফা বিক্রি করা হবে বলে জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ০১:১০
Share:

প্রতীকী ছবি

অনলাইনে সোফা বিক্রি করতে গিয়ে গলে গিয়েছে ৫৫ হাজার টাকা! অভিযোগ, সোফা কেনার নামে স্রেফ ফোন করে এক যুবতী ও তাঁর মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা সরিয়ে নিয়েছে প্রতারক। গরফা থানা এবং লালবাজারের সাইবার শাখায় এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা, ওই যুবতীর মা দেবযানী ঘটক।

Advertisement

পুলিশকে অভিযোগে দেবযানীদেবী জানিয়েছেন, পুরনো জিনিস কেনাবেচার একটি ওয়েবসাইটে তিনি সম্প্রতি ৭৫০০ টাকায় একটি সোফা বিক্রি করা হবে বলে জানান। গত ১২ অক্টোবর এক ব্যক্তি তাঁর মেয়ে দেবারতিকে ফোন করে জানান, তিনি সোফা কিনতে ইচ্ছুক। রাকেশ বলে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর সঙ্গে নগদ টাকা নেই। তিনি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টাকা দিতে চান। দেবারতি রাজি হন এবং নিজের মোবাইলে সেই অ্যাপ ডাউনলোড করেন। রাকেশ দেবারতির মোবাইলে একটি কিউআর কোড পাঠান। জানান, দেবারতি সেটি স্ক্যান করলেই তাঁর কাছে সোফা বিক্রির টাকা পৌঁছে যাবে।

দেবারতির অভিযোগ, স্ক্যান করার পরে টাকা পাওয়া তো দূর, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উল্টে ৩০০০ টাকা চলে যায়। তিনি পরক্ষণেই সেই কথা মোবাইলে ওই ব্যক্তিকে বলায় তিনি জানান, ভুল হয়ে গিয়েছে। একসঙ্গে তিনি সোফার দাম ও ৩০০০ টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু দেবারতির অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই অন্য একটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চান ওই ব্যক্তি। দেবারতি তাঁর মা দেবযানীদেবীর অ্যাকাউন্ট নম্বর ও অন্য তথ্য পাঠান। একটু পরে দেবযানীদেবীর মোবাইলে ওটিপি আসে এবং ওই ব্যক্তি ফোনে সেটি জেনে নেন। বলেন, কিছু ক্ষণের মধ্যেই সাড়ে দশ হাজার টাকা দেবযানীদেবীর অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।

Advertisement

কিন্তু ওটিপি পাওয়ার কিছু পরেই জানা যায়, দেবযানীদেবীর অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ৫২ হাজার টাকা চলে গিয়েছে। মাথায় হাত পড়ে মা-মেয়ের। তার পর থেকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, বারবার বলা সত্ত্বেও একটি অংশের মানুষ কিছুতেই সচেতন হচ্ছেন না। অচেনা লোকজনকে নিজের ব্যাঙ্কের তথ্য দিয়ে ঠকে যাচ্ছেন। দেবযানীদেবীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছু তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement