ফাইল চিত্র
গত বছর মেলার উদ্বোধনের দিনে দেখা গিয়েছিল, অনেক স্টলই ফাঁকা। কাজই শেষ হয়নি। এ বার সেই অব্যবস্থার ছবি যাতে ফিরে না আসে, সে জন্য সজাগ বইমেলা কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনের আগেই মাঠ সাজিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা।
মঙ্গলবার দুপুরে তারই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সল্টলেকে করুণাময়ী মোড়ের কাছে স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন কলকাতা বইমেলা কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় পুরসভা, পুলিশ, বিদ্যুৎ পর্ষদ, দমকল-সহ একাধিক দফতরের প্রতিনিধিরা।
বিকেলে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে বৈঠকও হয়। বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু দে জানান, উদ্বোধনের আগে সব স্টল তৈরির কাজ শেষ করা হবে। ২৬ জানুয়ারি থেকে মেলার মাঠে যাবতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ করা হবে। ২৭ জানুয়ারি শেষ মূহূর্তের অবস্থা খতিয়ে দেখতে আবারও পরিদর্শন হবে। উদ্বোধনের আগের দিন ২৮ জানুয়ারির মধ্যে বিক্রেতাদের বই নিয়ে স্টলে আসতে আবেদন করা হচ্ছে।
এ দিন মাঠের ভিতরে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। বইমেলা কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, আজ, বুধবার পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে বইমেলায় আসার পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন মেলা কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সূত্রের খবর, মেলা প্রাঙ্গণের ভিতর ও বাইরে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ভিতরে বইপ্রেমীদের চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য হাঁটার পথ তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে। বইমেলার ৮ এবং ৯ নম্বর গেটের মাঝে অতিরিক্ত আরও একটি রাস্তার কথা ভাবছে প্রশাসন।
নির্মাণ ভবনের কাছে একটি সাইকেল স্ট্যান্ড, শনি এবং রবিবার ছুটির দিনে সরকারি অফিস চত্বরে গাড়ি পার্কিংয়ের চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে। ১৫০০ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। বইমেলার সামনে রাস্তা পারাপারের জন্য ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পথটিকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হবে মেলায়।