শেষ পর্যন্ত মোদীর রাজ্য নয়। ‘দিদি’-র কলকাতায় সিংহ আসছে নিজামের শহর থেকে!
রাজ্যের জু অথরিটির সদস্য-সচিব বিনোদকুমার যাদব জানান, জিরাফের বদলে হায়দরাবাদ চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া সিংহ-সিংহী আনা হবে।
প্রথমে ঠিক ছিল, গুজরাতের জুনাগ়ড় চি়ড়িয়াখানা থেকে আলিপুরে নিয়ে আসা হবে এক জোড়া খাঁটি ভারতীয় সিংহ। সে ব্যাপারে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিও মিলেছিল। কিন্তু তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জুনাগড় থেকে নয়, হায়দরাবাদ চিড়িয়াখানা থেকে সিংহ নিয়ে আসা হবে আলিপুরে।
তাহলে কি গুজরাত বাদ পড়ল বিজেপি ও তৃণমূল দ্বৈরথের জেরে? এ সব রাজনীতির কচকচিতে ঢুকতে চাইছেন না জু অথরিটির কর্তারা। তাঁরা বলছেন, হায়দরাবাদ থেকে এক জো়ড়া সিংহ-সিংহর সঙ্গে মিলবে এক জোড়া জাগুয়ারও। তাই হায়দরাবাদকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী কালে জুনাগড়ের সিংহ দম্পতিকে আলিপুরে নিয়ে আসা হবে। সে ক্ষেত্রে আর নতুন করে অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় আফ্রিকার কোনও সিংহ নেই। ভারতীয় সিংহ যা রয়েছে, তাদের শরীরেও খাঁটি রক্ত বইছে না। চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, তাদের ভাঁড়ারে চারটি ভারতীয় সিংহ-সিংহী রয়েছে। তার মধ্যে দুর্গা নামের একটি মাত্র সিংহীর শরীরেই খাঁটি ভারতীয় রক্ত রয়েছে। বাকি দু’টি সিংহী এবং একটি সিংহ— সব ক’টিই আফ্রিকান ও ভারতীয় সিংহের সংকর। ‘‘দুর্গার বয়স বেড়ে গিয়েছে। ফলে ও আর বংশবৃদ্ধিও করতে পারবে না,’’ বলছেন চিড়িয়াখানার এক কর্তা। চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, দুর্গা ছাড়া বাকি সিংহীগুলিরও বয়স বেড়েছে। ফলে তাদের দিয়েও সিংহের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয়।
এই পরিস্থিতিতে খাঁটি ভারতীয় সিংহের জন্য খোঁজ শুরু করেছিলেন চিড়িয়াখানার কর্তারা। সে ক্ষেত্রে জুনাগড়কে প্রাধান্য দেওয়ার কারণ ছিল, ওই চিড়িয়াখানায় সব সিংহই খাঁটি রক্তের। রাজ্য জু অথরিটির সদস্য-সচিব জানান, হায়দরাবাদের সিংহ-সিংহীর শরীরেও খাঁটি ভারতীয় রক্ত বইছে। সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি থেকে তাদের রক্ত পরীক্ষা করে শংসাপত্রও নেওয়া হয়েছে।
তবে জুনাগড়ের সিংহ দম্পতিকে ব্রাত্য করছেন না আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তারা। চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে একটি জিরাফ শাবক হয়েছে আলিপুরে। সে কিছুটা বড় হলে তাকে জুনাগড়ে পাঠিয়ে সিংহ দম্পতিকে এ শহরে নিয়ে আসা হবে।