ধোঁয়াশায় ঢাকা রেড রোড। —ফাইল ছবি
দূষণে দিল্লিকে রীতিমতো পাল্লা দিচ্ছে কলকাতা। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে বাতাসে দূষণের মাপকাঠিতে কলকাতা এবং দিল্লির কার্যত কোনও ফারাক নেই।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকেল ৫টা ১০মিনিট পর্যন্ত কলকাতার বাতাসে দূষণের মাত্রা ৩৩৪। নির্দিষ্ট এলাকায় বাতাসের গুণমানের সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স) নির্ভর করে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম ১০) ও ভাসমান অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম ২.৫) উপরে।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কলকাতার বুকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বরে এই পরিমাপ করে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, রবীন্দ্রভারতী চত্বরে নেওয়া পরিমাপ অনুসারে বাতাসে পিএম ২.৫-এর পরিমাণ গড়ে ৩৫০। সেই পরিমাণ এ দিন সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিট পর্যন্ত সর্বাধিক পৌঁছয় ৪২৫-এ। পিএম ১০-এর পরিমাণ ছিল ওই সময়ের মধ্যে সর্বাধিক ৪১৯ এবং গড়ে ২৭৮। তুলনামূলক কম ধূলিকনা ধরা পড়েছে ভিক্টোরিয়া চত্বরে। সেখানের গড় ৩০২। হাওড়ায় সেই গড় ৩৩৯।
আরও পড়ুন: বিমানে বসে বন্ধুর সঙ্গে মস্করাই বিপদ ডেকে আনল বেলেঘাটার ছাত্রের
আরও পড়ুন: বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ব্যাডমিন্টনে রাজ্যের সেরা তৃণাঙ্কুরের
দিল্লিতে ওই একই সময়ে গড় ৩৪৩ হলেও, সংলগ্ন গাজিয়াবাদে সেই মাত্রা ছাড়িয়েছে ৪১৫। তবে পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, কলকাতায় এই দূষণের পরিমাণ বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে। মার্কিন পরিবেশ রক্ষা সংস্থা (ইপিএ)-এর বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাতাসে এই দূষণের মাত্রা ১০০ টপকানো মানেই তা অস্বাস্থ্যকর। সেখানে ২০১-৩০০ পর্যন্ত পরিমাপকে বলা হচ্ছে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। সুস্থ মানুষেরও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে এই পরিবেশে। ৩০০ পেরিয়ে গেলে তা খুব সুস্থ সবল মানুষকেও বিপদে ফেলতে পারে। এই বাতাসে শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে বিভিন্ন ধরণের রোগের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে ওঠে। তবে কলকাতা বা দিল্লিকে ছাপিয়ে এই মাত্রা অতি বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে নয়ডা(৩৬০) এবং লখনৌতে। যেখানে এই মাত্রা ৩৭৭।
পরিবেশবিদরা বলছেন, যত বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ কমবে এই শীতে, তত এই মাত্রা বাড়বে।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনা, কলকাতার আবহাওয়া, কলকাতার হালচাল জানতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)