—ফাইল চিত্র।
বিমান যখন মাঝ আকাশে, তখন সতর্কবার্তা এল। নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি, ‘বোমা রাখা আছে’। কিন্তু, ইঙ্গিত ছিল সেরকমই।
ঝুঁকি নিতে চাননি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ সেই বিমান বাগডোগরা থেকে যখন কলকাতায় এসে নামে তখন সেখানে যুদ্ধকালীন অবস্থা। শহরে নামতে আসা অন্য সব বিমানকে আকাশে চক্কর কাটার নির্দেশ দিয়ে সবার আগে অগ্রাধিকার দিয়ে নামিয়ে আনা হয় এয়ার এশিয়ার ওই বিমানকে। দমকলবাহিনী, অ্যাম্বুলেন্স তৈরি।
বিমান নামার পরে রাত পর্যন্ত তার ১৭৯ জন যাত্রীকে তল্লাশি করে অবশ্য কিছু পাওয়া যায়নি। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যাত্রীদের মালপত্রও তল্লাশি করেছেন বোমা বিশারদদের দল।’’
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরে। নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনেই এয়ার এশিয়ার বিমান বাগডোগরা ছেড়ে কলকাতার দিকে রওনা হয়ে যায়। তার মিনিট দশেক পরেই বেঙ্গালুরুতে এয়ার এশিয়ার দফতরে আসে সেই সতর্ক ফোন। বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর সুব্রমনিয়ম পি জানান, যিনি ফোন করেছিলেন তিনি হিন্দিতে নাকি বলেন, ‘কুছ হ্যায় উস ফ্লাইটমে। অ্যালার্ট কে লিয়ে ফোন কর রাহা হু।’ যিনি ফোন করেন তিনি ওই বিমানের নির্দিষ্ট ফ্লাইট নম্বরও জানান।
এয়ার এশিয়ার বেঙ্গালুরু দফতর থেকে এ খবর চলে আসে বাগডোগরায়। ততক্ষণে বিমান মাঝ আকাশে। বাগডোগরার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) থেকে সতর্ক করা হয় কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি-কে। জানানো হয় বিমানের পাইলটকেও। তিনি অবশ্য যাত্রীদের কিছু না জানিয়ে বিমান নিয়ে চলে আসেন কলকাতায়।
যে নম্বর থেকে ফোন করে সতর্ক করা হয়েছিল, ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু পুলিশকে সেই নম্বরটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এয়ার এশিয়ার তরফ থেকে।