Kumbh Mela

পুরাণের ‘অমৃত’ কৃত্রিম মেধা কুম্ভমেলার সমতুল, ঘোষণা ঘিরে বিতর্ক

ঘোষণা করেছে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)। দেশের সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কর্তৃপক্ষকে নববর্ষ উপলক্ষে এক বার্তায় এমনটাই জানানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪০
Share:

এআইসিটিই-র বার্তা ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। —প্রতীকী চিত্র।

২০২৫ সাল হবে কৃত্রিম মেধার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বছর। এমনই ঘোষণা করেছে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)। দেশের সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কর্তৃপক্ষকে নববর্ষ উপলক্ষে এক বার্তায় এমনটাই জানানো হয়েছে।

Advertisement

শুধু এটুকুতেই থেমে থাকেনি এআইসিটিই। তারা জানিয়েছে, কৃত্রিম মেধা কুম্ভমেলার মতো। কুম্ভমেলা যেমন নদী, মানবতা এবং আধ্যাত্মিকতার সঙ্গম, তেমনই কৃত্রিম মেধা ডেটা, অ্যালগরিদম এবং কম্পিউটেশনাল পাওয়ারের সংমিশ্রণ। আরও বলা হয়েছে, ডেটা হল গঙ্গা, অ্যালগরিদম যমুনা এবং কম্পিউটেশনাল পাওয়ার সরস্বতী। সদ্য শুরু হওয়া বছরটি কৃত্রিম মেধার কুম্ভে পরিণত হতে চলেছে। আরও এক ধাপ এগিয়ে জানানো হয়েছে, পুরাণে অমৃত হল অমরত্বের ঐশ্বরিক বস্তু। আধুনিক যুগে কৃত্রিম মেধা সেই অমৃত হিসাবে কাজ করছে।

এআইসিটিই-র এই বার্তা ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক সায়েন্সের অধ্যাপক সনাতন চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘পৃথিবীর একটি আধুনিকতম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে পুরাণ আর ধর্মীয় ভাবাবেগের ফোড়ন দিয়ে কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানোর এই অপকৌশল ভীষণ ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং একই সঙ্গে উদ্বেগের।’’

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক নন্দিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে আমাদের প্রাচীন ধারণার মিশেল ঘটাতে চাইলে তাতে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, সেটাই এই চিঠিতে করা হয়েছে। যিনি এই বার্তা দিয়েছেন, তাঁদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্স নিয়ে ধারণা আদৌ আছে কিনা, তা নিয়েই
সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ডেটা, অ্যালগরিদম এবং কম্পিউটেশনাল পাওয়ার— সব কিছুই যদি নদীর প্রবাহের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তা হলে সেটা কম্পিউটার সায়েন্সের মূল ধারণাকেই বিপাকে ফেলে দেয়।’’

সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি নস্কর এমন বার্তার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘কৃত্রিম মেধা বিজ্ঞান ও কারিগরিবিদ্যার একটি উন্নত অবদান। তার ব্যবহার আজ সুদূরপ্রসারী। কুম্ভমেলা বা হিন্দু ধর্মের কোনও বিষয়ের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই৷’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement