ভর্তি চলাকালীন এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ও তা ঘিরে ফের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
পুলিশ জানায়, সোমবার ডাক্তারি প্রথম বর্ষের ভর্তি চলাকালীন ক্যাম্প করে নতুন পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে বচসা বাধে ডিএসও ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। পঞ্চম বর্ষের এক ছাত্রীর অভিযোগ, তখন দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র নবনীত রাহা ও তথাগত ভট্টাচার্য তাঁকে ধাক্কা দেন ও অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন। কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস ভট্টাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি রাতে এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, এর পরে টিএমসিপি-র তরফে থানায় পাল্টা অভিযোগ করা হয়, ডিএসও-র কিছু কর্মী তথাগত-সহ টিএমসিপি-র কয়েক জনকে মারধর করেছেন। তথাগত এনআরএসে ভর্তি। পুলিশের দাবি, চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর বুকে ও পেটে আঘাত লেগেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের ডিএসও ইউনিট সম্পাদক সুশোভন পাত্র বলেন, ‘‘মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমরা থানায় অভিযোগ জানানোর পরে ইচ্ছা করেই ওঁরা পাল্টা অভিযোগ করেছেন।’’
এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি কলেজের টিএমসিপি-র নেতারা। সংগঠনের এক ছাত্র নেতা শুধু বলেন, ‘‘যা বলার পুলিশ ও অধ্যক্ষই বলবেন।’’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তমোঘ্ন ঘোষও কিছু বলতে চাননি। অধ্যক্ষ দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটিই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’’
তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করায় প্রশ্ন তুলেছে ডিএসও। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক ভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে আরও তদন্তের প্রয়োজন।’’ প্রসঙ্গত, মে মাসে এনআরএসের ইমার্জেন্সিতে এক ভবঘুরের চিকিৎসা করাতে গেলে পুলিশকর্মীদের নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দোষীদের চিহ্নিত করা যায়নি।