রাস্তায় পড়ে রয়েছে যুবকের দেহ। —নিজস্ব চিত্র
২৪ ঘণ্টাও কাটল না। উল্টোডাঙার মুচিবাজারে ফের দুর্ঘটনা। বাসের ধাক্কায় দুই কিশোরের মৃত্যুর পর এবার গাড়ির ধাক্কায় মারা গেলেন এক যুবক। একই এলাকায় পরপর দুর্ঘটনার জেরে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। মঙ্গলবারের রাতের এই দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ওই যুবক মুচিবাজার এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেই সময় প্রচণ্ড গতিতে আসা একটি গাড়ি পথচারী ওই যুবককে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাড়ি ধাক্কা মারার পরও দীর্ঘক্ষণ রাস্তাতেই পড়ে ছিলেন ওই যুবক। উদ্ধার করতে কোনও পুলিশকর্মীকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
সোমবার রাতে এই মুচিবাজার এলাকাতেই দু’টি বাসের রেষারেষির জেরে বাইক আরোহী দুই কিশোরকে পিষে দেয় একটি বাস। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও এক জন। তারপর মঙ্গলবার রাতে ফের দুর্ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। দুর্ঘটনার পর রাস্তার উপরই মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। রাস্তা অবরোধের জেরে এলাকায় ব্যাপক যানজট হয়। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুর্ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে বচসা স্থানীয় বাসিন্দাদের। —নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: দুই বাসের রেষারেষি, প্রাণ গেল দুই কিশোরের
সোমবারই স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, রাত ন’টার পর রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। চোখে পড়ে না কোনও টহলদারি পুলিশ ভ্যানও। সেই সুযোগ নিয়েই রাতে এই এলাকায় প্রচণ্ড গতিতে বাস ও অন্যান্য গাড়ি চলাচল করে। তার জেরে যে কোনও সময় ফের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানান এলাকাবাসী। তাঁদের সেই আশঙ্কাই সত্যি হল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। মঙ্গলবার রাতের দুর্ঘটনার পর ফের একই দাবিতে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হেলমেট-বার্তাতেও ফিরল না হুঁশ