কালিন্দী বাজারে আবার আগুন, সন্দেহ ষড়যন্ত্রের

৩ ফেব্রুয়ারি রাতের আগুনে পুড়ে গিয়েছিল কালিন্দী মাছ বাজারের প্রায় ২০টি দোকান। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৮ ০১:৩৩
Share:

দগ্ধ: এ ভাবেই পুড়ে গিয়েছে বাজার। বৃহস্পতিবার, কালিন্দীতে। নিজস্ব চিত্র

বারো দিনের মাথায় ফের আগুন লেক টাউন থানার কালিন্দী বাজারে। পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার গভীর রাতের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বাজারের চারটি দোকান। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের মধ্যে এক জনের ছেলে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী। আগুনের কারণ নিয়ে সন্দিহান দক্ষিণ দমদমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ হাজরা।

Advertisement

৩ ফেব্রুয়ারি রাতের আগুনে পুড়ে গিয়েছিল কালিন্দী মাছ বাজারের প্রায় ২০টি দোকান। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু যত দ্রুত সম্ভব অস্থায়ী ছাউনি দিয়ে বাজার পুনরায় চালুর আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই কাজ শেষ হওয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী সমিতির একটি কর্মসূচি ছিল। এর পর রাত আড়াইটে নাগাদ বাজার-সংলগ্ন চারটি দোকানে আগুন লাগাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। আগুনে যে চারটি দোকান পুড়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গোপাল মণ্ডলের আনাজপাতি এবং সোমনাথ মণ্ডলের পাখা সারাইয়ের দোকান। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মুরগি ব্যবসায়ী সুজিত দলুইয়ের দোকানে পড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি মুরগির পোড়া দেহ।

বাজার থেকে খুব বেশি দূরে বাড়ি নয় সোমনাথের। আগুন লাগার খবর পেয়ে বাবার সঙ্গে বাজারে ছুটে আসে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সত্যজিৎও। আজ, শুক্রবার ইতিহাস পরীক্ষা। আগের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুরো পরিবার বিপর্যস্ত। এ দিন সোমনাথ বলেন, ‘‘দোকানে অনেক গ্রাহকের পাখা ছিল। তাঁদের কী ভাবে ক্ষতিপূরণ দেব, সেটাই চিন্তার।’’ স্ত্রী জাহ্নবী বলেন, ‘‘সংসারের রোজগার বলতে ওই দোকানটাই। ছেলে মাধ্যমিক দিচ্ছে। মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। কী ভাবে যে ঘুরে দাঁড়াব বুঝতে পারছি না।’’ দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত খাবারের স্টলের মালিক হীরামন চৌধুরী বলেন, ‘‘রাত দুটো পর্যন্ত দোকানেই ছিলাম। বাড়ি পৌঁছে শুনলাম আগুন লেগেছে!’’

Advertisement

এ দিন অরূপবাবু বলেন, ‘‘আগুন লাগানো হয়েছে। দুষ্কৃতীরা এ কাজ করেছে বলে আমাদের ধারণা।’’ একই বক্তব্য বাজারের সভাপতি তথা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মানসরঞ্জন রায়ের। পুলিশ সূত্রের খবর, অগ্নিকাণ্ডে তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি জেনারেল ডায়েরি করেছেন ব্যবসায়ীরা। বিধায়ক
সুজিত বসু বলেন, ‘‘বারবার কেন আগুন লাগছে, পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement