Gang Rape

Gang rape case: নাবালিকা পাচার ও গণধর্ষণে সাড়ে সাত বছর পরে কারাদণ্ড ছয় অভিযুক্তের

এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ভিন্ রাজ্যে পাচার করে দেওয়ার পরে তাকে একাধিক বার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ছ’জনের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ ০৭:০১
Share:

ফাইল ছবি

এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ভিন্ রাজ্যে পাচার করে দেওয়ার পরে তাকে একাধিক বার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ছ’জনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছিল সাড়ে সাত বছর আগে। সেই ঘটনায় ছয় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করলেন বারাসত আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা বিচারক। ছয় অভিযুক্তের মধ্যে চার জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা হয়েছে। বাকি দুই অভিযুক্তের ১০ বছরের কারাবাস এবং ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা ঘোষণা করেছেন বিচারক। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে ওই নাবালিকাকে চার লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ভীষ্ম শর্মা, কমল শর্মা, সুশীল শর্মা এবং লাভ শর্মাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং রাহুল যাদব ও চিত্রা শর্মাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্তেরা সকলেই বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা।

Advertisement

সিআইডি সূত্রের খবর, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ১৫ বছরের ওই কিশোরী। তার পরিবার প্রথমে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি-র মানবপাচার রোধ শাখা (অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট)। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, প্রথমে ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিল রাহুল। পরে সে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে প্রথমে উত্তরপ্রদেশের বিজনোর এবং পরে উত্তরাখণ্ডের কাশীপুরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে চিত্রার কাছে বিক্রি করে দেয় কমল শর্মারা।চিত্রা তার ভাই ভীষ্মের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয় ওই কিশোরীর। এর পরে প্রথমে ভীষ্ম, পরে চিত্রার ছেলে লাভ ওই নাবালিকাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে। সূত্রের খবর, এরই মধ্যে খবর পেয়ে বিজনোরে চিত্রার বাড়িতে পৌঁছে যায় গোয়েন্দাদের একটি দল। কিন্তু সেই খবর আগাম পেয়ে যাওয়ায় চিত্রা ওই নাবালিকাকে পাঠিয়ে দেয় কমল শর্মা এবং সুশীল শর্মার কাছে। তারা দু’জন ফের কিশোরীকে ধর্ষণ করে তাকে কাশীপুর রেল স্টেশনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। তার সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার পরে কলকাতায় নিয়ে আসেন গোয়েন্দারা। গ্রেফতারির তিন মাসের মধ্যে অপহরণ, নাবালিকা পাচার, গণধর্ষণের ধারায় এবং পকসো আইনে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী অফিসার গৌতম সাহা। গত সপ্তাহে বারাসতের ওই আদালতে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়। এর পরেই ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার তাদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement