পরীক্ষার জন্য বন্ধ থাকবে অরবিন্দ সেতু। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
শিয়ালদহ এবং জীবনানন্দ সেতুর পরে এ বার উত্তর কলকাতার অরবিন্দ সেতুও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কেএমডিএ।
সূত্রের খবর, কেএমডিএ-র তরফে ২২ অগস্ট রাত থেকে ২৪ অগস্ট পর্যন্ত ওই স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। তবে পুলিশ ওই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে কেএমডিএ-র আবেদন মেনে ওই ক’দিন সেখান দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। ২৩ অগস্ট সরকারি ছুটি এবং পরের দিন শনিবার হওয়ায় যান চলাচলের উপরে কম প্রভাব পড়বে বলে পুলিশের দাবি। শিয়ালদহ এবং জীবনানন্দ সেতুতে যান চলাচল বন্ধ থাকার কথা চলতি সপ্তাহের শেষে।
অরবিন্দ সেতু শহরের অন্যতম পুরনো উড়ালপুল। উল্টোডাঙা মেন রোডের খন্না থেকে হাডকো মোড়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করছে ওই সেতু। ওই উড়ালপুল নিয়ে প্রাথমিক ভাবে একটি রিপোর্টও বছরখানেক আগে তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, ওই সেতুর বিয়ারিংয়ে সমস্যা রয়েছে। তার পরেই ওই সেতু সারানোর কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু ওই সেতু সংলগ্ন বাসিন্দাদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ায় তা স্থগিত হয়ে যায়।
মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে শহরের সমস্ত সেতু ও উড়ালপুলের অবস্থা কী, তা জানতে সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার মধ্যে অরবিন্দ সেতুর উপরেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে আধিকারিকেরা জানান।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, চলতি মাসের মধ্যেই শহরের সব ক’টি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তার রিপোর্ট দফতরে জমা পড়ার কথা। তার পরে পর্যালোচনা করে উড়ালপুলগুলির কোথায় মেরামতি করা দরকার তার তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ওই তিন দিন সেতু বন্ধ থাকলে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, হাওড়া বা ডালহৌসির সব বাসকে কাঁকুড়গাছি মোড়, মানিকতলা, গিরিশ পার্ক দিয়ে পাঠানো হবে। আবার ওই পথেই বাস যাবে হাডকো মোড়ের দিকে। তবে শিয়ালদহ বা ধর্মতলার বাসগুলিকে নারকেলডাঙা মেন রোড কিংবা বেলেঘাটা মেন রোড দিয়ে যেতে হবে।
ট্র্যাফিক পুলিশের ওই বিকল্প রাস্তা চূড়ান্ত না হলেও প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, উল্টোডাঙা মেন রোড দিয়ে কোনও বাস না চললেও ছোট গাড়ি এবং অটোকে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে দেওয়া হবে। সেই ক্ষেত্রে অরবিন্দ সেতুর বদলে সার্কুলার খালের উপরে তৈরি হওয়া দু’টি বেলি ব্রিজ দিয়ে ওই ছোট গাড়ি এবং অটো যাতায়াত করতে পারবে। তা ছাড়া যাতায়াতের জন্য গৌরীবাড়ির সেতুও খোলা রাখার কথা বলে হয়েছে বিকল্প ভাবনায়। পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই দু’টি বেলি ব্রিজ দিয়ে একমুখী গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। ফলে ওই খালের দু’পাড়ের রাস্তায় গাড়ির চাপ বাড়লেও অবস্থা সামাল দেওয়া যাবে অনায়াসেই।