Water Tank

সারেঙ্গার পরে সল্টলেক, ভেঙে পড়ল জলাধার

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ এই ছবি দেখা গেল সল্টলেকের সিসি ব্লকে, একটি কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসনের ভিতরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০৪:০১
Share:

বিপত্তি: এ ভাবেই ভেঙে পড়েছে জলাধার। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের ওভারহেড ট্যাঙ্ক। কাছাকাছি ছিলেন পাম্প অপারেটরেরা। ঘটনাস্থলের কাছেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন স্থানীয় পুরসভার কর্মীরা। কিন্তু জলাধারটি ফাঁকা জায়গায় ভেঙে পড়ায় বড় কোনও অঘটন ঘটেনি।

Advertisement

বাঁকুড়ার সারেঙ্গা নয়, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ এই ছবি দেখা গেল সল্টলেকের সিসি ব্লকে, একটি কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসনের ভিতরে। ঘটনার পরে সেখানে পৌঁছন বাসিন্দারা, স্থানীয় কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায়, পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা। পরে যান বিএসএনএল এবং ডাক ও তার বিভাগের আধিকারিকেরা। পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও। তাঁরা জলের জোগান থেকে শুরু করে অন্য সমস্যার সমাধানের জন্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে বিএসএনএল এবং ডাক ও তার বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেন দমকলমন্ত্রী।

দু’টি দফতরের আধিকারিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই আবাসন খণ্ডহরে পরিণত হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আগে ধসে পড়েছিল সিঁড়ি। এখন মাঝেমধ্যেই চাঙড় ভেঙে পড়ে। দু’টি জলাধারেরও দেখভাল করা হয় না। বারবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও কাজ হয়নি। বাসিন্দারা জানান, ১৯৭৬ সালে তৈরি ওই দু’টি জলাধার থেকে আবাসনের ৮৮টি বহুতলে জল সরবরাহ হয়। ২০০৮ সালে একটি জলাধার মেরামত করা হয়েছিল। যে জলাধারটি ভেঙে পড়েছে সেটি মেরামত করা হয়নি। দু’টি জলাধারে ৩৩ হাজার গ্যালন জল ধরে। আবাসন সমিতির এক কর্তা গোপালপ্রসাদ গণ্ড জানান, আবাসনের সব পরিকাঠামোর অবস্থাই শোচনীয়। ঘটনার পরে জলসঙ্কটের আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। তবে এ দিন বিধাননগর পুরসভা সেখানে চারটি জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়েছে।

Advertisement

কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায়ের অভিযোগ, ২০০৮ সাল থেকে আবাসনের অবস্থা শোচনীয়। সেখানে ওই দু’টি দফতরের ১৭০ জন কর্মী ও তাঁদের পরিবার থাকে। সেটি পুরসভার আওতায় না-পড়লেও বাসিন্দাদের স্বার্থে মশা নিয়ন্ত্রণ থেকে ঝোপঝাড় সাফ, রাস্তা মেরামতি, নিকাশির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

রক্ষণাবেক্ষণের কাজ কোন সংস্থা করবে, তা নিয়ে চাপানউতোর চলে বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের। তবে বিএসএনএল-এর কলকাতা শাখার এক শীর্ষ কর্তা মেনে নেন, আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণের দায় তাঁদেরই। তাঁর দাবি, উচ্চপদস্থ কর্তারা গিয়ে জলাধারের পাশাপাশি সার্বিক দেখভালের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন। তাঁরা রিপোর্ট দিলে বিএসএনএল-এর সদর দফতরে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হবে। সূত্রের খবর, সংস্থার আর্থিক সঙ্কটের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ব্যাহত হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement