Hookah Bar

কলকাতার পরে হুকা বারে নিষেধাজ্ঞা বিধাননগরেও

বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত এ দিন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে হুকা বার বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তিনি একটি চিঠিও দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:১৭
Share:

বিধাননগরেও বন্ধ হল হুকা বার। প্রতীকী চিত্র।

হুকা বারের বিরুদ্ধে কলকাতায় অভিযান শুরু হতেই এ বার নড়েচড়ে বসেছে বিধাননগর পুরসভা ও পুলিশ। মেয়র ও পুরসভার চেয়ারম্যান পুলিশকে কার্যত একযোগে চিঠি দিয়েছেন হুকা বার বন্ধ করার জন্য। যার প্রেক্ষিতে কমিশনারেট এলাকায় কোথায় কোথায় হুকা বার রয়েছে, তা খুঁজে বার করে সেগুলি বন্ধ করতে থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

সিটি সেন্টারের মতো বাণিজ্যিক এলাকা তো বটেই, সল্টলেকের বিভিন্ন আবাসিক ব্লকে গজিয়ে ওঠা কাফেটেরিয়াতেও হুকা বার চলে। তেমনই কোনও এক ব্লকের একটি হুকা পার্লারের সামনে এক তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আবাসিকেরাই। তা সত্ত্বেও পুর প্রশাসন নড়ে বসতে খানিকটা বিলম্ব করল বলেই মনে করছেন আবাসিকেরা। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা এ দিন বলেন, ‘‘হুকা বার কোথায় কোথায় চলছে, তা দেখতে থানাগুলিকে সোমবারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। পুলিশের নির্দেশ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।’’

সপ্তাহান্তে কলকাতার মতোই সল্টলেকের সিটি সেন্টার, পাঁচ নম্বর সেক্টর কিংবা নিউ টাউনে হুকার ব্যবসা রমরমিয়ে চলে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশ পেয়ে কলকাতা পুলিশ নিজেদের এলাকার হুকা বারগুলি বন্ধ করতে শুরু করেছে। কিন্তু বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় এখনও হুকার ব্যবসা চলছে। সল্টলেকের এমন কয়েকটি হুকা বারে ফোন করে জানা গিয়েছে, সেখানে এখনও হুকা বিক্রি বন্ধ হয়নি।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত এ দিন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে হুকা বার বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তিনি একটি চিঠিও দেন। পরে সব্যসাচী বলেন, ‘‘পুলিশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অবিলম্বে হুকা বারগুলির বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে। তবে, পুরসভাকেও এর মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে আগামী আর্থিক বছরের আগে ওই দোকানগুলি লাইসেন্স নবীকরণ করিয়ে নিলে আইনি ভাবে তাদের আটকানো সমস্যা হবে।’’

বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করেছেন, পুরসভা হুকা ব্যবসার লাইসেন্স দেয় না। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওই ব্যবসার লাইসেন্স দিই না। রবিবার আমিও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি। ওঁকে অনুরোধ করেছি, পুলিশের তরফে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement