পুজোর পরে বন্দি স্থানান্তর, রক্ষী বাড়াতে সুপারিশ 

বারুইপুরের টংতলায় নবনির্মিত কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি স্থানান্তরের সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ। এ কথা মেনে নিচ্ছেন খোদ কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসও। তাঁর মতে, এখনও সংশোধনাগারের কিছু কাজ বাকি রয়েছে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:১০
Share:

পুজোর আগে বারুইপুরের টংতলায় নবনির্মিত কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি স্থানান্তরের সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ। এ কথা মেনে নিচ্ছেন খোদ কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসও। তাঁর মতে, এখনও সংশোধনাগারের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। পাশাপাশি, সেখানে কারারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি (স্বরাষ্ট্র দফতর)।

Advertisement

গত কয়েক মাসে একাধিক বার আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে বারুইপুরে বন্দি স্থানান্তরের কথা শোনা গিয়েছে। তবে বর্ষার কারণে নবনির্মিত সংশোধনাগার চত্বরে জল জমে যাওয়ায় সেই প্রক্রিয়া থমকে যায়। এখনও সেখানে জল-কাদা রয়েছে। তা ছাড়া, নির্মাণ সংক্রান্ত কিছু কাজও বাকি রয়েছে। এই সব কারণে পুজোর আগে সেখানে বন্দি স্থানান্তর করার সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মত দফতরের একাংশের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন সংশোধনাগার দেখতে যান বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির (স্বরাষ্ট্র দফতর) সদস্যরা। ছিলেন বিধানসভার স্পিকার তথা স্থানীয় বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, কমিটির চেয়ারম্যান তমোনাশ ঘোষ, কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস-সহ অন্যেরা। উল্লেখ্য, বারুইপুর সংশোধনাগারে বন্দিদের তিনটি ভাগে রাখা হবে— সাধারণ, স্পর্শকাতর এবং অতি স্পর্শকাতর। অতি স্পর্শকাতর বিভাগে থাকার কথা দাগী বন্দিদের। কারণ, দাগীদের সঙ্গে সাধারণ বন্দিদের রাখা হলে সমস্যা তৈরি হয় বলে মত কারা দফতরের কর্তাদের একাংশের। পাশাপাশি, বারুইপুর সংশোধনাগারে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের সঙ্গেই থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়ার জন্য মঞ্চ। এ দিন সেই সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন পরিদর্শকেরা।

Advertisement

বারুইপুরে যে জমিতে সংশোধনাগার তৈরি হয়েছে, সেটি অনেকটাই নিচু। সে কারণে সেখানে জল জমার সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি চেয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ করা বলে জানিয়েছেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তমোনাশবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘নিকাশি ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে তৈরির জন্য সুপারিশ করা হবে।’’ একই সঙ্গে বারুইপুর সংশোধনাগারের জন্য কারারক্ষীর সংখ্যা বাড়াতেও বলা হবে। উল্লেখ্য, সংশোধনাগারের পাঁচিল পর্যন্ত নির্মাণ করছে পুলিশ হাউজিং বোর্ড। তার পরের অংশ, রাস্তা এবং নিকাশির কাজ করছে কেএমডিএ। কারা দফতরের কর্তাদের মতে, নিকাশি ব্যবস্থা সুষ্ঠু না হলে ওই এলাকায় জল জমে যাবে। জল যদি সংশোধনাগার থেকে না বার করা হয়, তা হলে সমস্যায় পড়বেন বন্দিরা। তাই বিষয়টির সমাধান না করে বন্দি স্থানান্তরের সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement