তৎপর: প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে পুড়ে যাওয়া বস্তির ঘর পরিষ্কারের কাজ। শুক্রবার, নিউ টাউনের শুলংগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
নিউ টাউনের শুলংগুড়ি কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনাস্থল পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। আগুনে যাঁরা ঘর হারিয়েছেন, তাঁদের রাখা হয়েছে কাছেই একটি কমিউনিটি হলে। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রের খবর, পুড়ে যাওয়া ঘরগুলি তৈরির কাজ কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই কলোনিতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয় চারটি ঝুপড়ি ঘর। অংশত ক্ষতিগ্রস্তহয় আরও দু’টি ঘর। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নিয়ন্ত্রণে হাত লাগান। পরে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। ক্ষতিগ্রস্ত চারটি পরিবারকে স্থানীয় একটি আবাসনের কমিউনিটি হলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। রাজারহাট ব্লক প্রশাসনের তরফে তাঁদের দেওয়া হয় শীতবস্ত্র এবং মশারি। ব্যবস্থা করা হয় খাবারের। শুক্রবার সকাল থেকে পঞ্চায়েত এবং রাজারহাট ব্লক প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে।
নিচু জমিতে বাঁশের মাচার উপরে তৈরি একাধিক ঘর রয়েছে ওই এলাকায়। এর আগেও সেখানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। একে জায়গাটি ঘিঞ্জি, অন্য দিকে যাতায়াতের পথ সরু। ফলে দমকলের বড় গাড়ি ঢোকা
কার্যত অসম্ভব। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা থেকে শুরু করে প্রশাসন মনে করছে, এমন বিপদ ভবিষ্যতে ঘটলে দমকলের ছোট ইঞ্জিন অনেক বেশি উপযোগী। এই পরিপ্রেক্ষিতে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানান, দমকলের সব ধরনের গাড়ি রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়। এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বড় গাড়ি পাঠানো হয়েছিল।
রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির এক আধিকারিক জানান, ত্রাণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তিনিও মেনে নিয়েছেন, ঘিঞ্জি ওই এলাকায় অগ্নিকাণ্ড হলে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের ছোট গাড়ি হলে ভাল হয়। বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।