Posta Flyover

Posta Flyover: পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার দ্বিতীয় ধাপে আশঙ্কা যানজটের

চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং রবীন্দ্র সরণির উপরে চাপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় মহাত্মা গাঁধী রোডে ট্রাম আপাতত বন্ধ থাকবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২১ ০৭:২৭
Share:

ফাইল চিত্র।

পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু হল শুক্রবার। গিরিশ পার্ক থেকে গণেশ টকিজ় পর্যন্ত অংশটি ৯০ দিনের মধ্যে ভাঙা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারেরা।

Advertisement

ওই কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পোস্তা এলাকায় উত্তরমুখী সমস্ত গাড়ি গণেশ টকিজ় থেকে বাঁ দিকে ঘুরে যাবে। যে সমস্ত বাস-মিনিবাস রবীন্দ্র সরণি দিয়ে যাতায়াত করত, সেগুলি পোদ্দার কোর্ট থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ দিয়ে যাতায়াত করবে। রবীন্দ্র সরণি দিয়ে বড় গাড়ি যাতায়াত করবে না। বিডন স্ট্রিট দিয়ে যে গাড়িগুলি চলত, সেগুলি এখন বি কে পাল অ্যাভিনিউ এবং কলাকার স্ট্রিট হয়ে যাবে। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং রবীন্দ্র সরণির উপরে চাপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় মহাত্মা গাঁধী রোডে ট্রাম আপাতত বন্ধ থাকবে। নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের একাংশ, বি কে পাল অ্যাভিনিউ ও রবীন্দ্র সরণির মাঝের অংশটি একমুখী করা হয়েছে। পোস্তা বাজারে যে সমস্ত পণ্যবাহী ছোট গাড়ি আসে, সেগুলি স্ট্র্যান্ড রোড নর্থ, নিমতলা ঘাট স্ট্রিট ও বিডন স্ট্রিট দিয়ে পাঠানো হবে।

সামনে পুজো। তাই ট্র্যাফিক পুলিশ যান নিয়ন্ত্রণ করলেও গণেশ টকিজ় থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত অংশ বন্ধ থাকায় যানজটের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এ দিন অজিত সাহা নামে এমনই এক জন বললেন, ‘‘পোস্তা উড়ালপুল তৈরি হতে দেখলাম। আবার ভাঙতেও দেখছি। যে দিন উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে পড়ল, সে দিনই ওই অংশের নীচ দিয়েই মিনিট পাঁচেক আগে গিয়েছিলাম আমি। অল্পের জন্য বেঁচে যাই।’’ গণেশ টকিজ় এবং গিরিশ পার্কের মাঝে রাস্তার দু’দিকে রয়েছে অসংখ্য দোকান। ওই অংশের দোকানিরা জানাচ্ছেন, যান নিয়ন্ত্রণ এবং ফুটপাত দিয়ে মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের জেরে তাঁদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু তা মেনেও নিতে হবে। ফলের রস বিক্রেতা অশোক শীল বললেন, ‘‘এমনিতেই করোনার জন্য ব্যবসার হাল খারাপ। তার মধ্যে আবার উড়ালপুল ভাঙার জন্য দোকানে লোক কমে যাবে।’’ অশোকবাবু জানালেন, অর্ধসমাপ্ত ওই উড়ালপুলের উপর থেকে মাঝেমধ্যেই ছোট ছোট টুকরো ভেঙে পড়ত। এ বার উড়ালপুল পুরো ভেঙে দিলে অন্তত দুর্ঘটনার ভয়টা আর থাকবে না।

Advertisement

এ দিন দেখা যায়, ভাঙার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারেরা জানালেন, পথচারীদের সুবিধার জন্য দু’দিকের ফুটপাতের সামনের অংশ আটকে দেওয়া হবে। তাঁদের বক্তব্য, কাজ চলাকালীন টানা দোকান বন্ধ রাখার দরকার নেই। তবে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই বিশেষ কিছু সময়ে দোকান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement