ফরজানাকে শ্রদ্ধা অধীর চৌধুরীর। বুধবার ফরজানা আলমের পিকনিক গার্ডেনের বাড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
মৃত্যুর আগে প্রয়াত ফরজানা আলম পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তা মৃত্যুকালীন জবানবন্দি হিসাবে গ্রহণ করুক সরকার। বুধবার পিকনিক গার্ডেনে প্রয়াত নেত্রীর বাসভবনে এসে এ কথাই জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। একই সঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রয়াত প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র ফরজানার মৃত্যুতে অভিযুক্তদের সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার না করলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
গত ১৫ মে ফরজানার বাড়িতে শোকসভায় তাঁর পরিবারকে ফোন করে সমবেদনা জানান অধীর। পিকনিক গার্ডেনে এ দিন প্রয়াত নেত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানালেন তিনি। অধীরের সঙ্গে গিয়েছিলেন দলীয় বিধায়ক, নেতা-নেত্রীরা। সেখানে অধীর বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, মৃত্যুর আগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফরজানা যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তা মৃত্যুকালীন জবানবন্দি হিসাবে সরকার গ্রহণ করুক। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।’’ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করে অধীর জানান, তাঁর দলের কর্মী, কলকাতার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের মৃত্যুর পরেও মুখ্যমন্ত্রী কেন তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাতেও এলেন না? অধীরের অভিযোগ, ‘‘ক্ষমতায় আসার আগে ফরজানার মতো অনেক কর্মীকে কাজের সময় মমতা বন্দোপাধ্যায় ব্যবহার করেছেন। পরে তাঁদের ঝেড়ে ফেলেছেন। কথায় বলে কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরোলেই পাজি।’’
ফরজানার ছোট ভাই সরফরাজ আলম এ দিন ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, ‘‘অধীরবাবু আসতে পারলেন, আর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ফরজানাদির একরত্তি ছেলের পাশে দাঁড়ানোর একটু সময় বার করতে পারলেন না?’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘অভিযুক্তদের সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার না করলে সুপ্রিম কোর্ট, সিবিআই-এর দ্বারস্থ হব।’’ ফরজানাকে তৃণমূল যোগ্য সম্মানই জানিয়েছে, এই দাবি করে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ফরজানাকে সম্মান তৃণমূলই দিয়েছে। প্রথমবারের কাউন্সিলর হিসাবে তাঁকে ডেপুটি মেয়র করা হয়েছিল। অন্য কোনও দলে থাকলে তিনি এই সম্মান পেতেন না।’’ তবে অধীরকে আক্রমণ করে ফিরহাদের পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘‘অধীর চৌধুরী ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছেন। ওঁকে বলছি, উনি মুর্শিদাবাদে নিজের মাটি শক্ত করুন। না হলে মুর্শিদাবাদও হাতছাড়া হবে।’’