প্রস্তুতি: চলছে মঞ্চ বাঁধার শেষ মুহূর্তের কাজ। বুধবার। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
এ বার থেকে কলকাতায় কোনও রাজনৈতিক দলের মিটিং-মিছিল বা বিক্ষোভ সমাবেশ থাকলে নবান্নে
সেই দিন বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এ রকম সিদ্ধান্তই নিয়েছেন নবান্নের দায়িত্বে থাকা পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।
সোমবার হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (এস বি) দেবাশিস বেজ নিজে এসে নবান্নের চার দিক ঘুরে দেখেন। কোথায় কোথায় পুলিশ পিকেট থাকে তারও খোঁজ নেন। কলকাতায় কোনও রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভ-সমাবেশ থাকলে নবান্নের দিকে আসা সব গাড়িকে ভাল করে দেখে তবেই ছাড়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বসবার পর থেকেই ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নবান্নের ভিতরে ও বাইরে লাগানো হয়েছে প্রায় দুশোটি সিসি ক্যামেরা। নবান্নের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় পাঁচশো পুলিশকর্মী। তার পরেও কী ভাবে বিজেপি এবং বামেরা নবান্নের উত্তর গেটের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে পারলেন, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কলকাতায় বিরোধী দলগুলির কোনও সমাবেশ থাকলে নবান্নের নিরাপত্তা ঢিলেঢালা রাখলে চলবে না।
হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে শিবপুর থানার অধীনে রয়েছে নবান্ন। এই এলাকায় কোনও মিটিং-মিছিল করা নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও বিজেপি সমর্থকেরা বেশ কিছু দিন আগে নবান্নের উত্তর গেটে এসে বিক্ষোভ দেখান। সম্প্রতি বামেদের ডাকা নবান্ন অভিযানেও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী কয়েক জন বিধায়ককে নিয়ে গাড়িতে করে নবান্নের সামনে চলে আসেন। এই সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাওড়া জেলা পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে নবান্নের অন্দরে আলোচনা হয়। এই ধরনের ঘটনা ফের যাতে না ঘটে, তার জন্য সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন নবান্নের শীর্ষ কর্তারা। নবান্নের এক পুলিশ কর্তা জানান, নবান্নে এসে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্যই বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।