Higher Secondary Exam

WB HS Exam 2022: শনিবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, হোম সেন্টারে প্রশ্ন নেই বাড়তি সুবিধার, দাবি স্কুলগুলির

বর্তমানে করোনা অনেকটা কম থাকলেও স্কুলে স্কুলে জীবাণুনাশের কাজ হয়েছে। কিছু স্কুল আজ, পরীক্ষা শুরুর আগে তা করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২২ ০৭:৪০
Share:

চূড়ান্ত: উচ্চ মাধ্যমিক শুরুর আগে চলছে আসন সাজানোর তোড়জোড়। শুক্রবার, হিন্দু স্কুলে। ছবি: রণজিৎ নন্দী

আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। অনেকেরই আশঙ্কা, এ বছর হোম সেন্টার বা নিজের স্কুলে পরীক্ষা হবে বলে কোনও কোনও কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছ থেকে ‘বাড়তি সাহায্য’ পেতে পারে। তবে কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা দাবি করেছেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সব নিয়মই কঠোর ভাবে মানা হবে। কোনও কোনও প্রধান শিক্ষকের দাবি, হোম সেন্টার বলেই এ বার আরও কড়া গার্ড দেওয়া হবে।

Advertisement

বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনের প্রধান শিক্ষিকা সুনীতা সেন জানালেন, প্রতিবারের মতো এ বারও কঠোর ভাবে সংসদের নিয়ম মানা হবে। শুধু তা-ই নয়, এ বার আর প্রতিবারের মতো একটি বেঞ্চে দু’জন নয়, এক জন করে বসানো হবে। কসবার চিত্তরঞ্জন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘হোম সেন্টারে পরীক্ষার্থীরা বাড়তি সুবিধা পাবে, এমনটা ভাবা হচ্ছে কেন? আমাদের স্কুলে ছেলেরা তো প্রতি বছরই বার্ষিক পরীক্ষা দেয়। তাদের কি শিক্ষকেরা উত্তর বলে দেন?’’ তিনি বলেন, ‘‘পরীক্ষা নেওয়া থেকে মূল্যায়ন, সব বিষয়েই আমরা খুব কড়া। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক হয়নি। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল বেরিয়েছিল। সেই মূল্যায়নে আমাদের কয়েক জন ছাত্র অকৃতকার্যও হয়েছে। তাদের পাশ করানোর দাবিতে বিক্ষোভও হয়। তবু কাউকে পাশ করাইনি। পরে সংসদ যখন সবাইকে পাশ করিয়ে দিল, তখন ওরাও পাশ করে যায়।’’

বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী বললেন, ‘‘আমাদের পড়ুয়ারা নিজেদের স্কুলে পরীক্ষা দেবে ঠিকই, কিন্তু সংসদের নিয়ম অনুযায়ীই পরীক্ষা হবে।’’
সংসদ নিয়ম করেছে, যে দিন যে বিষয়ের পরীক্ষা, সে দিন ওই বিষয়ের শিক্ষক গার্ড দিতে পারবেন না। শাশ্বতী বলেন, ‘‘এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছি।’’

Advertisement

আগের কয়েক বছরে উচ্চ মাধ্যমিক মার্চে হলেও এ বার হচ্ছে এপ্রিলের তীব্র গরমে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা জানান, পরীক্ষার হলে পাখা ঠিক মতো আছে কি না, তা দেখে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে পুরনো পাখা সারানো বা নতুন পাখা লাগানো হয়েছে। খিদিরপুর অ্যাকাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সালেহিন বলেন, ‘‘গরমের মোকাবিলা করে পরীক্ষা দেওয়াটাও চ্যালেঞ্জ। কিছু ক্লাসে অতিরিক্ত পাখা লাগিয়েছি।’’

বর্তমানে করোনা অনেকটা কম থাকলেও স্কুলে স্কুলে জীবাণুনাশের কাজ হয়েছে। কিছু স্কুল আজ, পরীক্ষা শুরুর আগে তা করবে। মাধ্যমিকে মাস্ক পরে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কী হবে? সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই সময়ে রাজ্য সরকার যে করোনা-বিধি মানতে বলেছে, পরীক্ষার্থীদেরও তা মানতে হবে।’’ অধিকাংশ অভিভাবক জানিয়েছেন, ছেলেমেয়েদের মাস্ক ও জীবাণুনাশকের শিশি দিয়ে দেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement