আবেশের মৃত্যু-জট খুলতে ঘটনার পুনর্গঠন

সানি পার্কের বহুতলে কিশোর আবেশ দাশগুপ্তের অপমৃত্যুতে দুর্ঘটনার তত্ত্বই আঁকড়ে আছেন তদন্তকারীরা। তবে আঘাত যে-ভাবেই লেগে থাকুক, তার অব্যবহিত পরেকার ঘটনাক্রম নিয়ে পুলিশের ধন্দ এখনও কাটেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৩২
Share:

সানি পার্কের বহুতলে কিশোর আবেশ দাশগুপ্তের অপমৃত্যুতে দুর্ঘটনার তত্ত্বই আঁকড়ে আছেন তদন্তকারীরা। তবে আঘাত যে-ভাবেই লেগে থাকুক, তার অব্যবহিত পরেকার ঘটনাক্রম নিয়ে পুলিশের ধন্দ এখনও কাটেনি। সেই জট কাটাতে ঘটনার দিন অকুস্থলে উপস্থিত আবেশের বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পুরো ঘটনার পুনরভিনয় করানোর কথা ভাবছে লালবাজার। ওই কিশোরের বন্ধুবান্ধবীদের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার পুনর্গঠনের সময় সে-দিন সংশ্লিষ্ট আবাসনের কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদেরও রাখা হবে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর।

Advertisement

লালবাজার জানাচ্ছে, ঘটনার পরে আবেশকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এতটা দেরি হল কেন, তা নিয়ে প্রথম দিকে বন্ধুদের বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি ছিল ঠিকই। তবে তদন্ত যত এগিয়েছে, সেই অসামঞ্জস্যের কারণও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার জন্যই যে আবেশের দেহে আঘাত লেগেছিল, সেই তত্ত্ব অনেকটা পরিষ্কার হয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। কিন্তু তড়িঘড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা না-করে আবেশকে কেন দীর্ঘ ক্ষণ ফেলে রাখা হয়েছিল, তা জানার জন্যই ঘটনার পুনর্গঠন প্রয়োজন বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, পুনরভিনয়ের আগে আবেশের ন’জন বন্ধুকে সোমবারেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল লালবাজারে। তাদের মধ্যে তিন জন সে-দিন সানি পার্কের ওই আবাসনে যায়নি। ওই সব কিশোর ছাড়াও আবাসনের ছয় নিরাপত্তারক্ষীকে লালবাজারে ডেকে কথা বলেন তদন্তকারী গোয়েন্দারা।

আবেশের বন্ধুদের দফায় দফায় কথা বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন, ২৩ জুলাই বিকেলে আবেশ যখন আড়াই ফুট প্রাচীর টপকাতে গিয়ে পড়ে যায়, সেই সময় সেখানে ছিল তার ছয় বন্ধু। বাকি বন্ধুরা ছিল আবাসনের পার্কিং লটে। কাচের বোতল ভাঙার শব্দ শুনে তারা ছুটে যায়। তদন্তকারীদের বক্তব্য, সে-দিন বিকেলে রক্তাক্ত আবেশ বেসমেন্টের কাছে পড়ে যেতেই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার বন্ধুরা আবাসিক ও রক্ষীদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু আবাসিক ও রক্ষীরা ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ আবেশকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এগিয়ে আসেননি বলে তদন্তকারীদের কাছে অভিযোগ করেছে একাধিক বন্ধু।

Advertisement

পুলিশ আরও জেনেছে, ঘটনার সন্ধ্যায় আবাসনের এক রক্ষী বাইরে এসে এক দোকানদার এবং এক পার্কিং-কর্মীকে জানান, আবাসনে এক জন খুন হয়েছে। কীসের ভিত্তিতে ওই রক্ষী এমন কথা বলেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement