—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ ফয়জল হক। বুধবার তাঁকে পাকড়াও করে গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ। ফয়জল নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ফয়জলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম ফারাত আরা (৩৫)। বুধবার সকালে গার্ডেনরিচ থানা এলাকার আলিফনগরের বাড়িতে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ফারাতকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ফারাত আত্মহত্যাই করেছেন, না কি অন্য কোনও ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এ দিন ফয়জলকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১১ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ফারাতের সঙ্গে ফয়জলের বিয়ে হয়েছিল ২০২৩ সালে। তাঁদের একটি সাত মাসের মেয়ে আছে। বিয়ের পর থেকেই তাঁরা আলিফনগরের বাড়িতে থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে কাজে বেরিয়ে যান ফয়জল। সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন, দরজা ভেজানো। ডাকাডাকি করার পরেও কোনও সাড়া না পেয়ে ফয়জল ঘরের ভিতরে ঢুকে ফারাতকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ওই রাতেই ফারাতের দিদি ফয়জলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
এক পুলিশকর্তা জানান, অভিযোগে বলা হয়েছে, বিয়ের পর থেকেই ফারাতের উপরে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন চালাতেন ফয়জল। যা নিজের বাড়িতেও জানিয়েছিলেন ফারাত। মাঝে কিছুটা কমলেও ইদানীং ফয়জলের সঙ্গে বেশি মাত্রায় ফারাতের গোলমাল চলছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই রাতে অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কী সমস্যা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।