প্রতীকী ছবি।
কে বেশি মদ্যপান করবেন, তাই নিয়ে বচসা। এর জেরে মঙ্গলবার রাতে দু’জনকে বঁটি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল টালিগঞ্জ থানা এলাকার সতীশ মুখার্জি রোড। আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসার পরে বুধবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শেখ সাবির নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি রক্তমাখা বঁটিও।
পুলিশ সূত্রের খবর, সতীশ মুখার্জি রোডের ৫১/১এ বস্তিতে সাবির এবং অন্য দুই আহত দুরন্ত হালদার এবং সঞ্জীব যাদবের ঘর রয়েছে। সকলেই নির্মাণকাজের ঠিকা কর্মী। মঙ্গলবার রাতে বস্তির একটি ফাঁকা জায়গায় বসে তিন জন মদ্যপান করছিলেন। সেখানেই কে বেশি মদ্যপান করবেন, তা নিয়ে বিবাদের শুরু। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন পাশের ঘর থেকে বঁটি বার করে দুরন্তের কাঁধে কোপ মারে সাবির। দুরন্তকে বাঁচাতে গেলে সঞ্জীবকেও কোপানোর অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়েরাই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই বস্তির সামনে কোনও পুলিশি প্রহরা নেই। স্থানীয় কয়েক জন যুবকই ঠিক করছেন কারা বস্তিতে ঢুকবেন, কারা ঢুকবেন না। রাস্তা জিজ্ঞাসা করতেই অনিল ঘোষ নামে এক যুবক বললেন, ‘‘কেন, কী দরকার? ওখানে যাওয়া যাবে না।’’ পাশে দাঁড়ানো আর এক যুবকের দাবি, ‘‘কয়েক জন বন্ধুর মধ্যে ঝামেলা। যা হয়েছিল মিটে গিয়েছে।’’
সাধারণত যে কোনও অপরাধস্থলে নাকা তল্লাশির ব্যবস্থা রাখে সংশ্লিষ্ট থানা। উর্দিধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশকর্মী মোতায়েন রাখা হয় ঘটনার গুরুত্ব বুঝে। তা হলে খাস কলকাতায় যেখানে বঁটি দিয়ে দু’জনকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে, সেখানে পুলিশি প্রহরা নেই? প্রশ্ন শুনে টালিগঞ্জ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বললেন, ‘‘বস্তিতে ঢোকার মুখে নেই ঠিকই, তবে বস্তির অনেক ভিতরে পুলিশ আছে।’’