প্রতীকী ছবি।
ক্ষতবিক্ষত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল বছর আঠারোর এক তরুণীকে। প্রবল মারধরে অচৈতন্য হয়ে পড়া ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই আইসিইউ-তে চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই তরুণীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে এন্টালি থানায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ওই তরুণীকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। খবর যায় এন্টালি থানায়। পুলিশ জানতে পারে, ওই তরুণী কামারডাঙা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর দাদা পুলিশকে জানিয়েছেন, বোন মাদকাসক্ত। প্রায়ই কামারডাঙা রেলওয়ে কোয়ার্টার্স ও রেললাইন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন তিনি। গাঁজা ও এক ধরনের তীব্র গন্ধের আঠার নেশা করতেন। তাঁদের বাড়িও রেললাইনের ধারে। বুধবার জখম অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার আগে এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল। ওই যুবক তরুণীর পরিচিত বলেই দাদার দাবি। পুলিশ দাদার সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং ওই যুবকের খোঁজ করছে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেলেও আপাত ভাবে তাঁর শরীরে যৌন হেনস্থার কোনও চিহ্ন মেলেনি। কিন্তু বৃহস্পতিবারও তাঁর জ্ঞান না ফেরায় ওই তরুণীর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে পারেনি পুলিশ। তাঁকে উদ্ধার করা হয় কামারডাঙার চার নম্বর রেলওয়ে কোয়ার্টার্সের একটি শৌচাগার থেকে। ওই তরুণী কেন এবং কার সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে শহরের গ্রাহকের কার্ড থেকে টাকা তুলে জালিয়াতি
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সম্ভবত মাদক নিয়ে সঙ্গীদের সঙ্গে কোনও গোলমালে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী। অন্য মাদকাসক্তেরাও তাঁকে মারধর করে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। আপাতত অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, দিনের বেলায় এক তরুণীকে ওই রকম বেধড়ক ভাবে মারধর করা হল, অথচ কেউ তা টেরই পেলেন না? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কামারডাঙার ওই রেলওয়ে কোয়ার্টার্সগুলি এক-একটি নেশার ঠেক। এক দিকে রেললাইন এবং অন্য দিকে কনভেন্ট রোডের দিকে যাওয়ার সেতু। সেখানে দিনের বেলাতেও মাদকাসক্তদের আড্ডা বসে বলে অভিযোগ। গাঁজা বা আঠার পাশাপাশি নানা ধরনের মাদকের সেবন চলে সেখানে। তাই পারতপক্ষে তাঁরা ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।