শ্বেতশ্রী বিশ্বাস
ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক তরুণীর। মঙ্গলবার, ব্যারাকপুর স্টেশন লাগোয়া ১৪ নম্বর রেলগেটের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম শ্বেতশ্রী বিশ্বাস (১৯)। তিনি টিটাগড় থানা এলাকার তালপুকুর ভট্টাচার্যপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে আনন্দপুরীর রাস্তা দিয়ে এসে ব্যারাকপুর স্টেশন লাগোয়া ১৪ নম্বর রেলগেট পার হচ্ছিলেন শ্বেতশ্রী। তখন রেলগেট বন্ধ ছিল। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, রেললাইন পার হওয়ার সময়ে শ্বেতশ্রী কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। ঠিক তখনই তিন নম্বর লাইন দিয়ে আপ বজবজ নৈহাটি লোকাল ব্যারাকপুর স্টেশনে ঢুকছিল। শ্বেতশ্রী বন্ধ রেলগেট পার হওয়ার সময়ে মোটরবাইক ও গাড়িচালকেরা তাঁকে চিৎকার করে সতর্ক করলেও তা খেয়াল করেননি তিনি। মুহূর্তের মধ্যেই ট্রেনের কাউক্যাচারের ধাক্কায় ছিটকে প্রায় আট-দশ ফুট দূরে লাইনের ধারে গিয়ে পড়েন ওই তরুণী। ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বেলঘরিয়ার ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন শ্বেতশ্রী। এ দিন পাঠ্যবিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই বেলঘরিয়ায় এক বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। শ্বেতশ্রীর মা সঞ্চিতা বিশ্বাস স্থানীয় একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষিকা। বাবা সমীর বিশ্বাস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। শ্বেতশ্রী ঠিক মতো পৌঁছল কি না, সেই খবর নিতে সঞ্চিতাদেবী তাঁকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু শ্বেতশ্রীর ফোন প্রথমে বেজে যায়। পরে অন্য এক জন সেই ফোন ধরে বলে জানান সঞ্চিতাদেবী। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের বলা হয় থানায় যেতে। মেয়ের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তখনও জানতাম না যে, মেয়ে আর নেই।’’