সোনারপুরে গয়নার দোকানে ডাকাতি ও দোকান মালিককে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহেA woman was arrested by police। ধৃতের নাম কোহিনূর বিবি। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার অরিজিৎ সিংহ জানান, মঙ্গলবার চম্পাহাটির সোলগোলিয়া থেকে ওই মহিলাকে ধরা হয়। এই নিয়ে ওই ঘটনায় চার জন গ্রেফতার হল। তাদের মধ্যে দু’জন মহিলা।
পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাত দলের পাণ্ডা কাশেম-সহ আরও ছ’জন এখনও বেপাত্তা। ওই ঘটনায় যাঁরা জখম হয়েছিলেন, অস্ত্রোপচারের পরে তাঁদের দেহ থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজ পরীক্ষা করে তদন্তকারীদের অনুমান, মুঙ্গেরে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রই ডাকাতিতে ব্যবহার করা হয়েছিল।
তদন্তকারীদের দাবি, ডাকাতির ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি দুষ্কৃতী লাভলু সর্দারের আগ্নেয়াস্ত্র থাকত কোহিনূরের কাছে। শনিবার বাসন্তীর ধুড়ি এলাকায় বাংলাদেশি ডাকাতদের ডেরায় সে-ই অস্ত্র পৌঁছে দিয়েছিল। তা দিয়েই গয়নার দোকানে হামলা চালানো হয়। বাসন্তীর ডেরার পাশাপাশি চম্পাহাটিতে কোহিনূরের বাড়িতেও বাংলাদেশি ডাকাত-দল আশ্রয় নিত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীরা আরও দাবি করেছেন, দুষ্কৃতীদের চাঁই কাশেম অস্ত্র কারবারেও জড়িত। বাসন্তীর ধুড়ির ডেরার মালকিন মঞ্জুলাকে জেরা করে তার অস্ত্র কারবারের ব্যাপারে তথ্য উঠে এসেছে। বিশদ জানার জন্য মঞ্জুলা ও লাভলুকে জেরা করা হচ্ছে। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশি ডাকাতদের আরও আস্তানা আছে কি না তা-ও দেখছেন তদন্তকারীরা।