—প্রতীকী ছবি।
একটি বহুতলের ৩৭তলার বারান্দা থেকে পড়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সুমনা পাল (৫০)। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। যা দেখে পুলিশের অনুমান, ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের এক নম্বর টাওয়ারের ৩৭তলায় সপরিবার থাকতেন সুমনা। এ দিন ভোরে ওই টাওয়ারের নিরাপত্তারক্ষীরা কিছু পড়ার আওয়াজ শুনে বেরিয়ে দেখেন, নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সুমনা। আনন্দপুর থানায় খবর দেওয়ার পাশাপাশি মহিলাকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বহু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুমনা। তার ওষুধও খাচ্ছিলেন তিনি। এটি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। স্বামী রুদ্রপ্রসাদ বিশ্বাস পেশায় ব্যবসায়ী। তিন দিন আগেই স্বামীর সঙ্গে বানতলার একটি বাগানবাড়িতে গিয়েছিলেন সুমনা। বুধবার রাতে সুমনা ফিরলেও রুদ্রপ্রসাদ থেকে যান। এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, মহিলা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে আরও লেখা, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। তিনি পরিবারের সদস্যদের ভালবাসেন। ক্ষমাপ্রার্থী তিনি। তবে সুইসাইড নোটটি সুমনারই লেখা কি না, তা পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ।
এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে যাবে ফরেন্সিক দল। ওই আবাসনের এক নম্বর টাওয়ারে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে বাড়িতে সুমনার দুই ছেলেমেয়ে এবং এক পরিচারিকা ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁদের। জানা গিয়েছে, সুমনাদের ফ্ল্যাটের বারান্দায় উঁচু রেলিং ছিল। রেলিংয়ের যা উচ্চতা, তাতে অসাবধানবশত পড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কোনও তরফেই অভিযোগ দায়ের হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।