অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের বিক্ষোভ-অবরোধের জেরে ফের উত্তাল হল কলেজ স্ট্রিট এলাকা। সোমবার পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ।আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের তরফে সোমবার মিডিয়াকে বয়কট করা হয়। আনন্দবাজার অনলাইনে আন্দোলনকারী এক ছাত্রীর সাক্ষাৎকার ভাইরাল হওয়ার জেরেই এই বয়কটের সিদ্ধান্ত বলে পড়ুয়াদের একাংশের তরফে জানা গিয়েছে।
আনন্দবাজার অনলাইনকে একটি ভিডিয়ো সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী ওই ছাত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘অনলাইন পরীক্ষা হলে বই খুলে নিজের ভাষায় লেখা যায়। আর অফলাইন পরীক্ষা হলে পুরোটাই না দেখে লিখতে হবে।’’ অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন ঘোষণা করে ওই ছাত্রী বলেছিলেন, ‘‘অফলাইন পরীক্ষা হলে আমরা সবাই ফেল করব।’’ আনন্দবাজার অনলাইনে ওই ভিডিয়ো প্রচারিত হওয়ার পরে ছাত্রীটির বক্তব্যের বিশেষ একটি অংশ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। নেটমাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বৈঠকে অফলাইনে পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পড়ুয়াদের একাংশ এখনও অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে অনড়। সোমবার সকাল থেকে রাস্তায় বসে অবস্থান শুরু করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয় কলেজ স্কোয়ার এলাকায়।
এক সময় আন্দোলনকারীরা জোর করে গেটে ঠেলে ঢুকতে চান। সে সময় পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায়। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। পড়ুয়াদের দাবি, পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে তাঁদের উপর। প্রতিবাদে পৌনে ২টো থেকে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। সন্ধ্যার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বাইরে জমায়েত রয়েছে পড়ুয়াদের। রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী-সহ আধিকারিকেরা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে। এর পর উপচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের পিছনের গেট দিয়ে বার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, করোনাকালে প্রায় দু’বছর ধরে অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। অফলাইনে ক্লাস হয়েছে মাত্র দেড় মাস। পাঠ্যক্রম এখনও শেষ না-হওয়ায় তাঁরা অনলাইন পরীক্ষার দাবি জানাচ্ছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।