বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রীর চিকিৎসা চলছে। প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষার শেষ দিনে নিজেদের মধ্যে গল্পগুজবে ব্যস্ত ছিল ছাত্রীরা। খানিকটা ঢিলেঢালা নজরদারিও ছিল স্কুলের ভিতরে। এমন সময়ে ধপ করে শব্দ হওয়ায় চমকে ওঠেন সকলে। তত ক্ষণে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। এই ঘটনায় বুধবার চাঞ্চল্য ছড়ায় বারাসতের একটি স্কুলে। পুলিশ জানায়, মানসিক সমস্যায় ভুগছিল ওই ছাত্রী। বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
এই ঘটনায় স্তম্ভিত অনেকেই। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ছাত্রীর মনখারাপের কথা জানা মাত্রই অভিভাবকদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা স্কুলে আসেননি। স্কুলের টিচার ইন-চার্জ কাবেরী বসু জানান, এ দিন স্কুলের তেতলায় পরীক্ষা দিয়ে সকলের সঙ্গে ওই ছাত্রীও নীচে নামছিল। আচমকাই দোতলার খোলা বারান্দা থেকে সে ঝাঁপ দেয়। দ্রুত পুলিশের সাহায্যে তাকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, উপর থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে ওই ছাত্রী। তার পায়ের হাড়েও চিড় ধরেছে। মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। শিক্ষিকারা জানান, পারিবারিক কোনও সমস্যাকে ঘিরে কয়েক দিন ধরেই মেধাবী ওই ছাত্রীটি মানসিক চাপে ছিল। রূপাই ঘোষ নামে এক শিক্ষিকা বলেন, ‘‘এ দিন ছাত্রীটির মায়ের স্কুলে আসার কথা ছিল। তার আগেই ওই ঘটনা ঘটে।’’
এ দিন নবম শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষা ছিল। দুপুর দুটো নাগাদ সেই পরীক্ষা শেষ হয়। প্রশ্ন উঠছে, একটি ছাত্রী ঝাঁপ দিল, অথচ কারও নজরে পড়ল না কেন? টিচার ইন-চার্জের দাবি, ‘‘আচমকাই ঘটনাটি ঘটেছে। শেষ পরীক্ষার দিনে ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করছিল। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, আহত ছাত্রী একটু সুস্থ হলে তার সঙ্গে আইন অনুযায়ী কথা বলার চেষ্টা করা হবে।