Arms Smuggler Arrested

বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের সঙ্গে যুক্ত চিংড়িঘাটা থেকে ধৃত

এসটিএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পণ্য-বোঝাই যে লরি বা ট্রাক এ রাজ্যে প্রবেশ করে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে, সেগুলিই ফিরে যাওয়ার সময়ে অস্ত্র নিয়ে যায়।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দক্ষিণ বিধাননগর থানার চিংড়িঘাটা থেকে গ্রেফতার হওয়া অস্ত্র পাচারকারীর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ পেল রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। সূত্রের খবর, ধৃত অস্ত্র পাচারকারী বিশ্বনাথ বিশ্বাস তপসিয়ার বাসিন্দা এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অস্ত্র কিনে সেগুলি বাংলাদেশে পাচার করত। গত কয়েক বছর ধরে ওই কাজ সে করছিল বলে প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। এক তদন্তকারী জানান, বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ওই বেআইনি অস্ত্র বাংলাদেশে পাচার করা হত। এক-একটি অস্ত্র-পিছু পঞ্চাশ থেকে সত্তর হাজার টাকা বাংলাদেশ থেকে অভিযুক্ত পেত বলে সূত্রের দাবি।

Advertisement

এসটিএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পণ্য-বোঝাই যে লরি বা ট্রাক এ রাজ্যে প্রবেশ করে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে, সেগুলিই ফিরে যাওয়ার সময়ে অস্ত্র নিয়ে যায়। অভিযোগ, তপসিয়ার বাসিন্দা ওই অস্ত্র ব্যবসায়ী প্রথমে বিহার থেকে আধা স্বয়ংক্রিয় পিস্তলের মতো দেশি অস্ত্র কিনে এ রাজ্যে নিয়ে আসত। সেই অস্ত্র বাংলাদেশে পাঠানোর দায়িত্ব থাকত বিশ্বনাথের উপরে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ অগস্ট দক্ষিণ বিধাননগর থানার চিংড়িঘাটার কাছে জলবায়ু বিহারে অভিযান চালিয়ে বিশ্বনাথকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃতের বাড়ি নদিয়ার ধানতলায়। তার কাছ থেকে একটি আধা স্বয়ংক্রিয় পিস্তল, ২৫টি কার্তুজ উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, তপসিয়ার ওই অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সেগুলি তিরিশ হাজার টাকায় কিনেছিল অভিযুক্ত।

Advertisement

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কী কী অস্ত্র লাগবে, তা ফোনেই আগে থেকে ঠিক হয়ে যেত। সেই মতো বিশ্বনাথ বরাত দিত ওই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে। সড়কপথে সে সব এসে পৌঁছত বিশ্বনাথের কাছে। এর পরেই পণ্য নামিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া লরিতে ওই অস্ত্র তুলে দেওয়া হত।ওই চক্রের বাকিদের খোঁজ শুরু হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। এর আগেও এ রাজ্য থেকেবাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ সামনে এসেছিল। বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে জাল নোট এ রাজ্যে পাচার হত। তবে এ বার গ্রেফতার হওয়া অস্ত্র কারবারির সঙ্গে জাল নোট চক্রের কোন যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement