—প্রতীকী চিত্র।
চিকিৎসা পরিষেবা ও সরকারি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে ৩৭ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় সম্প্রতি বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায় নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের দাবি, হাওয়ালায় লেনদেনের মাধ্যমে বিরল প্রজাতির পাখি কেনাবেচার কোটি টাকার ব্যবসাতেও জড়িত ছিল সে। ইডি সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, নিজের পরিবারের সদস্য ও কর্মচারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক প্রতারণার টাকা প্রথমে জমা দিত বুধাদিত্য। এর পরে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা তুলে নিয়ে বিভিন্ন বেআইনি ব্যবসা ও সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করত।
পাশাপাশি, তদন্তকারীদের দাবি, বুধাদিত্যের এক কর্মচারী লিখিত বয়ানে জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে বিরল প্রজাতির পাখির এক ব্যবসায়ীর কাছে ওই টাকা পৌঁছে দেওয়া হত। এই আর্থিক লেনদেন হত মধ্য কলকাতার একটি জায়গায়। তবে, আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনও সময়েই বুধাদিত্য সশরীরে উপস্থিত থাকত না।
নিজেকে আড়ালে রেখেই বুধাদিত্য বিরল প্রজাতির পাখির ব্যবসা করত বলে দাবি করেছেন ইডি-র আধিকারিকেরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র সরকারি টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরের নানা বরাত পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অগ্রিম বাবদ ৩৭ কোটি টাকা তুলেছিল সে।
এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘প্রতারণার কালো টাকা অন্য একটি নিষিদ্ধ ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিল বুধাদিত্য। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কলকাতার ওই পাখি ব্যবসায়ীর খোঁজ চালানো হচ্ছে। এই ব্যবসায় কত টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল, তা-ও পরবর্তী কালে খতিয়ে দেখা হবে।’’