Health

‘চ্যানেল ভাঙলে কে টাকা দেবে?’ ৮৩ বছরের বৃদ্ধকে নার্সের চড়

বৃদ্ধের ছেলে বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “গত ৭ নভেম্বর বাবাকে ভর্তি করা হয়। চেস্ট, ইউরিন-সহ বার্ধক্যজনিত অনেকগুলি সমস্যায় ভুগছেন বাবা। তাই দেশপ্রিয় পার্কের কাছে বি এন বসু মেমোরিয়াল অ্যাপোলো ক্লিনিকে ভর্তি করাই।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:২৯
Share:

হাসপাতালে ওই বৃদ্ধ।

বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ৮৩ বছরের বৃদ্ধকে চড় মারার অভিযোগ উঠল এক নার্সের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ কলকাতার ওই ক্লিনিকে বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল কালীঘাট মুখার্জি পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় রায়কে।

Advertisement

বৃদ্ধের ছেলে বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “গত ৭ নভেম্বর বাবাকে ভর্তি করা হয়। চেস্ট, ইউরিন-সহ বার্ধক্যজনিত অনেকগুলি সমস্যায় ভুগছেন বাবা। তাই দেশপ্রিয় পার্কের কাছে বি এন বসু মেমোরিয়াল অ্যাপোলো ক্লিনিকে ভর্তি করাই।”

বিশ্বজিৎবাবু অভিযোগ করেন, “এ দিন সকালে নিয়মমতো বাবাকে দেখতে যাই। তিনি বলেন এক নার্স তাঁকে শনিবার রাতে চড় মারেন।” বাবাকে জিজ্ঞাসা করে তিনি জানতে পারেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাবা হাতের চ্যানেল খোলার চেষ্টা করেন। আর তখনই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত এক নার্স তাঁর বাবাকে গালে সপাটে চড় মারেন। সেই নার্স বৃদ্ধকে ধমক দিয়ে বলেন,“চ্যানেল ভেঙে গেলে কে পয়সা দেবে?” বিশ্বজিৎবাবু বলেন,“আমি ঘটনা শুনেই খোঁজ নিয়ে জানতে পারি রাতে গীতা দাস নামে এক নার্স ডিউটিতে ছিলেন। তিনিই এই কাজ করেছেন।”

Advertisement

আরও পড়ুন, নজরদারির অভাব, শহরে অবাধ স্কুল-‘ব্যবসা’

বিশ্বজিৎবাবু এর পর গোটা ঘটনা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক রাজীব মুখোপাধ্যায়কে জানান। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকেও জানান। বিশ্বজিৎ রায়ের অভিযোগ, “সব জানার পরও কেউ কোনও পদক্ষেপ করেননি। কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। তার পরই তিনি রবীন্দ্র সরোবর থানাতে অভিযোগ জানান। কিন্তু তাঁর আক্ষেপ, এখনও পুলিশের তরফ থেকেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement